অ্যাডলফ হিটলারের উক্তি ও বিখ্যাত বাণী – অ্যাডলফ হিটলার ছিলেন একজন লেখক, চিত্রশিল্পী, রাজনীতিবিদ এবং রাষ্ট্রপ্রধান। তিনি ১৮৮৯ খ্রিস্টাব্দের ২০ শে এপ্রিল অস্ট্রিয়ার হাঙ্গেরিতে জন্মগ্রহণ করেন এবং তিনি মাত্র ৫৬ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ (আত্মহত্যা) করেন ।
অ্যাডলফ হিটলার অস্ট্রিয়া ও জার্মান উভয় দেশের নাগরিকত্ব ছিলেন। তিনি অস্ট্রীয় বংশোদ্ভূত জার্মান রাজনীতিবিদ যিনি ন্যাশনাল সোশ্যালিস্ট জার্মান ওয়ার্কার্স পার্টির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তবে তিনি জাতীয়তাবাদ, ইহুদি বিদ্বেষ ও সমাজতন্ত্র বিরোধিতার জন্য বিখ্যাত ছিলেন। হিটলার এমন একটি বৈদেশিক নীতি গ্রহণ করেন যেখানে সকল “লেবেনস্রাউম” (জীবন্ত অঞ্চল) দখল করে নেয়ার কথা বলা হয়। ১৯৩৯ সালে জার্মানরা পোল্যান্ড অধিকার করে এবং ফলশ্রুতিতে ব্রিটেন ও ফ্রান্স জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। এভাবেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মিত্র শক্তির কাছে পরাজয় হন হিটলার। ১৯৪৫ সালের মধ্যে জার্মানি ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়। হিটলারের আগ্রাসনের কারণে লক্ষ লক্ষ মানুষকে প্রাণ হারাতে হয়। ৬০ লক্ষ ইহুদিকে পরিকল্পনামাফিক হত্যা করা হয়। ইহুদি নিধনের এই ঘটনা ইতিহাসের পাতায় হলোকস্ট নামে পরিচিত। ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের শেষ দিনগুলোতে হিটলার বার্লিনেই ছিলেন এবং সেই সময় তিনি ইভা ব্রাউনকে বিয়ে করেন। বিয়ের 24 ঘন্টা পার হওয়ার পূর্বেই তিনি ফিউরারবাংকারে সস্ত্রীক আত্মহত্যা করেন। এরপর তিনি ৩০ শে এপ্রিল ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন। তবে হিটলার তার জীবনে একাধিক উক্তি আমাদেরকে নিয়ে গিয়েছেন। তার দেওয়া উক্তি গুলি আজও আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করে। তাই আজ আমরা আপনাদের সামনে হিটলারের উক্তি নিয়ে হাজির হয়েছি। আসুন এক নজরে দেখে নিন হিটলারের উক্তি গুলি –
অ্যাডলফ হিটলারের উক্তি ও বিখ্যাত বাণী
১
“যে যুবক ভবিষ্যৎকে জয় করে, সে হয় একা।”
২
“যদি সূর্যের মত আলো ছড়াতে চাও, তাহলে সূর্যের মত জ্বলতে হবে”
৩
“কে বলেছে আমি ঈশ্বরের দ্বারা সুরক্ষিত নই।”
৪
“অপছন্দের চেয়ে ঘৃণার স্থায়িত্ব বেশি।”
৫
“একজন বড় মিথ্যাবাদী, একজন বড় জাদুকরও।”
৬
“একটি জাতিকে জয় করতে হলে প্রথমে তার নাগরিকদের নিরস্ত্র করুন।”
৭
“যদি বড় কোন মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাও, সহজ ভাবে এটাকে বলো, বারবার বলতে থাকো, একসময় দেখবে সবাই এটা বিশ্বাস করতে শুরু করেছে।”
৮
“যিনি একা যুব সম্প্রদায়ের মালিকানা অর্জন করতে পারেন তিনি প্রকৃতপক্ষে ভবিষ্যত জয় করেছেন”
৯
“শক্তি প্রতিরোধে নয়, আক্রমণেই প্রকাশিত হয়।”
১০
“সন্ত্রাস, নাশকতা, হত্যা এবং বিস্ময়ের মধ্য দিয়ে শত্রুর মনোবল ভেঙে দাও, এটাই যুদ্ধের ভবিষ্যৎ।”
১১
“কিন্তু যে শত ঝামেলা সামলে জেতে সে ইতিহাস রচয়িতা।”
১২
“আমি ভালোবাসার চেয়ে যুদ্ধকেই বেশি প্রাধান্য দেবো! কারণ যুদ্ধে হয় তুমি বাঁচবে নয় মরবে। কিন্তু ভালোবাসায় না তুমি বাঁচবে না মরবে!”
১৩
“বিজয়ীকে কেউ কখনো জিজ্ঞাসা করেনা সে সত্য বলছে কিনা।”
১৪
“যারা বাঁচতে চায়, তারা লড়াই করে বাঁচুক। আর যারা লড়তে চায় না, তাদের বাঁচার কোন অধিকার নেই।”
১৫
“যে ব্যাক্তি আকাশকে সবুজ দেখে এবং জমিনকে আঁকে নীল রঙে তাকে নপংসুক করে দেয়া কর্তব্য।”
১৬
“একজন খ্রি স্টান হিসেবে প্রতারিত হওয়া আমার কর্তব্য নয়, কর্তব্য হলো সত্য এবং ন্যায়ের জন্য যুদ্ধ করা।”
১৭
“আমি শুধুমাত্র এমন কিছুর জন্য লড়াই করতে পারি যা আমি ভালোবাসি, শুধুমাত্র তাকেই ভালোবাসি যাকে আমি সম্মান করি, আর আমি তাকেই সম্মান করি যাকে আমি অন্তত কিছুটা হলেও জানি।”
১৮
“যার কোন সমস্যা নেই, তাকে কখনো বিশ্বাস করবে না।’
১৯
“জ্ঞানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের চেয়ে বিশ্বাসের বিরুদ্ধে লড়াই করা সর্বদা কঠিন।”
২০
“শব্দ হল অনাবিষ্কৃত অঞ্চলগুলিতে সেতু তৈরি করার শক্তিশালী মাধ্যম।”
২১
“মানুষ হয়ত সবসময় তোমার মুখের কথায় বিশ্বাস করবে না, কিন্তু তোমার কাজে তারা সবসময়ই বিশ্বাস করবে।”
২২
“যদি কোন মিথ্যাকে তুমি বারবার এবং সাবলীলভাবে বলতে পারো তবেই তা বিশ্বাসযোগ্য হবে।”
২৩
“জীবন আয়নার মত। তুমি ভেংচি কাটলে এটাও তোমাকে ভেঙ্গাবে, তুমি হাসলে এটা তোমাকে অভিবাদন জানাবে।”
২৪
“জার্মানি হবে পৃথিবীর সর্বশক্তিমান নয়তো কিছুই নয়।”
২৫
“মিথ্যা যত বড়, লোকে তা বিশ্বাস করার সম্ভাবনা তত বেশি।”
২৬
“কূটনীতির যেখানে অবসান ঘটে সেখানেই যুদ্ধের সূত্রপাত হয়।”
২৭
“যদি অস্ত্রের অপ্রতুলতার কারণে স্বাধীনতা অর্জনের পথে বাধা আসে তবে তার ক্ষতিপূরণ আমরা ইচ্ছাশক্তি দিয়ে মিটিয়ে দেব।”
২৮
“নিজেকে কখনো অন্য কারও সাথে তুলনা করবেনা; যদি সেটা করে থাক তাহলে তুমি নিজেকে অপমান করছ।”
২৯
“পড়া এবং অধ্যয়নের শিল্প হল অপরিহার্য বিষয়গুলি মনে রাখা এবং যা অপরিহার্য নয় তা ভুলে যাওয়া।”
৩০
“একজন খ্রিস্টান হিসেবে প্রতারিত হওয়া আমার কর্তব্য নয়, কর্তব্য হলো সত্য এবং ন্যায়ের জন্য যুদ্ধ করা।”
৩১
“আমাদের জীবনের পথে বাধা বিপত্তিগুলি স্থাপন করা হয়, এতে আটকা পড়ার জন্য নয় বরং অতিক্রম করার জন্য।”
৩২
“প্রতিভাধর নেতার অবশ্যই বিভিন্ন প্রতিপক্ষকে এমনভাবে দেখানোর ক্ষমতা থাকতে হবে যেন তারা একটি বিভাগের অন্তর্গত।”
৩৩
“ভালোবাসা না করে যুদ্ধে যাও,হয় তুমি জয়ী হবে না হলে মরবে। কিন্তু ভালোবাসায় পরাজিত হলে না পারবে তুমি বেঁচে থাকতে না পারবে মরে যেতে।”
৩৪
“আমি অনেকের জন্য আবেগ ব্যবহার করি এবং অল্পের জন্য কারণ সঞ্চয় করে রাখি।”
৩৫
“প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত কাজ করে বেশি আয় করেছে।”
৩৬
“সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে হাজার বার ভাবুন কিন্তু – সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর হাজার কষ্ট পেলেও পিছপা হবেন না!!”
৩৭
“যখন তুমি মারা যাবে তখন তোমার ব্যাংকে সেই পরিমাণ টাকা থাকবে সেটা হলো ওই টাকা যেটা তুমি তোমার।”
৩৮
“যে বাঁচবে তাকে লড়াই করতে হবে। যে এই পৃথিবীতে লড়াই করতে চায় না, তার বেঁচে থাকার কোনো অধিকার নেই কারণ স্থায়ী সংগ্রামই হল জীবনের নিয়ম।”
৩৯
“এই পৃথিবী কাপুরুষ মানুষদের জন্য তৈরি হয়নি।”
৪০
“আমি চাইলে সব ইহুদীদের হত্যা করতে পারতাম। কিন্তু কিছু ইহুদী বাচিয়ে রেখেছি,,এই জন্যে যে, যাতে পৃথিবীর মানুষ বুঝতে পারে, আমি কেন ইহুদী হত্যায় মেতেছিলাম।”
৪১
“প্রকৃতির সাথে তাল মিলিয়ে চলা প্রতিভাবান মানুষটি ইতিহাসকে তার নিজের ইচ্ছায় নত করার ক্ষমতা রাখে।”
৪২
“পড়া নিজেই শেষ নয়, বরং শেষের উপায়।”
৪৩
“শুধুমাত্র ইহুদিরা জানত যে প্রচারের একটি সক্ষম এবং অবিরাম ব্যবহারের মাধ্যমে স্বর্গ নিজেই মানুষের সামনে উপস্থাপন করা যেতে পারে। ইহুদীরা এই ব্যাপারে অবগত ছিল এবং তারা সেই অনুযায়ী কাজ করেছিল।”
৪৪
“কিন্তু জার্মান ও তার সরকারের এ ব্যাপারে সামান্যতম সন্দেহও ছিল না আর যুদ্ধের সময় সেই অজ্ঞতার জন্য তাদের সবচেয়ে ভারী জরিমানা দিতে হয়েছিল।”
৪৫
“যে মানুষটির ইতিহাসের কোন জ্ঞান নেই, সে এমন একপ্রকার মানুষ যার কোন কান বা চোখ নেই।”
৪৬
“সংগ্রামই সব কিছুর জনক। এটি মানবতার নীতির দ্বারা নয় যে মানুষ বেঁচে থাকে বা প্রাণীজগতের ঊর্ধ্বে নিজেকে রক্ষা করতে সক্ষম হয়, এটি শুধুমাত্র সবচেয়ে নিষ্ঠুর সংগ্রামের মাধ্যমেই সম্ভব।”
৪৭
“শক্তিশালীকে অবশ্যই আধিপত্য বিস্তর করতে হবে এবং দুর্বলের সাথে সঙ্গম করলে হবে না, যা তার নিজস্ব উচ্চ প্রকৃতির আত্মত্যাগকে নির্দেশ করবে। শুধুমাত্র জন্মগত দুর্বল ব্যক্তিই এই নীতিটিকে নিষ্ঠুর হিসাবে দেখতে পারে, এবং যদি সে তা করে তবে তা কেবলমাত্র সে দুর্বল প্রকৃতির এবং সংকীর্ণ মনের।”
৪৮
“নিরঙ্কুশ রাষ্ট্রের বড় শক্তি হল যে এটিকে যারা ভয় পায় তাদের অনুকরণ করতে বাধ্য করে।”
৪৯
“মানবতাবাদ হল মূর্খতা ও কাপুরুষতার বহিঃপ্রকাশ।”
৫০
“একটি সুস্থ ও উদ্যমী মন কেবল একটি সুস্থ ও উদ্যমী শরীরেই পাওয়া যায়।”
৫১
“একমাত্র প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা যা একজন গ্রহণ করতে পারে তা হল অনিয়মিতভাবে জীবনযাপন করা।”
৫২
“সবকিছুর মতো, প্রকৃতি হল সেরা প্রশিক্ষক।”
আমাদের শেষ কথা
অ্যাডলফ হিটলারের উক্তি ও বিখ্যাত বাণী গুলি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এই পোস্টটি আপনার ভালো লেগে থাকলে আপনার প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করুন এবং এরকম আরও সুন্দর সুন্দর পোস্ট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ fb.com/banglaprotibedon ফলো করুন।