কাজী নজরুল ইসলামের উক্তি ও বাণী – কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন একজন বিংশ শতাব্দীর প্রধান বাঙালি কবি ও সংগীতকার। ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দের ২৪ শে মে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহাকুমার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার পিতা ছিলেন কাজী ফকির আহমদ এবং মাতা ছিলেন জাহেদা খাতুন। কাজী নজরুল ইসলাম তার পিতা-মাতার ষষ্ঠ সন্তান ছিলেন। কাজী নজরুল ইসলামের পিতা পেশায় ছিলেন স্থানীয় এক মসজিদের ইমাম এবং মাযারের খাদেম। কাজী নজরুল ইসলাম একটি মুসলিম পরিবারের সন্তান এবং ইসলামী শিক্ষায় দীক্ষিত হয়েও তিনি বড় হয়েছিলেন একটি ধর্মনিরপেক্ষ সত্তা নিয়ে। একই সঙ্গে তার মধ্যে বিকশিত হয়েছিল একটি বিদ্রোহী সত্তা।
কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন একজন বিদ্রোহী কবি। তিনি তার জীবনে একাধিক অনুপ্রেরণামূলক উক্তি আমাদেরকে দিয়ে গিয়েছেন। কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত উক্তিগুলি আজ আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি। আসুন এক নজরে দেখে নিন কাজী নজরুল ইসলামের উক্তি ও বাণী গুলি –
কাজী নজরুল ইসলামের উক্তি ও বাণী
“ হিন্দু না ওরা মুসলিম এই জিজ্ঞাসে কোন জন হে, কাণ্ডারি বল ডুবিছে মানুষ সন্তান মোর মা’র ”
”ভালবাসার কোন অর্থ বা পরিমাণ নেই”
“জীবনে যাদের হররোজ রোজা ক্ষুধায় আসে না নিদ/ মুমূর্ষু সেই কৃষকের ঘরে এসেছে কি আজ ঈদ?”
”মৃত্যুর যন্ত্রণার চেয়ে বিরহের যন্ত্রণা যে কতো কঠিন, কতো ভয়ানক তা একমাত্র ভুক্তভুগিই অনুভব করতে পারে”
“তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি প্রিয়, সে কি মোর অপরাধ? চাঁদেরে হেরিয়া কাঁদে চকোরিণী বলে না তো কিছু চাঁদ।”
“বিশ্বাস করুন, আমি কবি হতে আসিনি, আমি নেতা হতে আসিনি, আমি প্রেম দিতে এসেছিলাম, প্রেম পেতে এসেছিলাম, সে প্রেম পেলাম না বলে আমি এই প্রেমহীন নীরস পৃথিবী থেকে নীরব অভিমানে চিরদিনের জন্য বিদায় নিলাম।”
“ফোটে যে ফুল আঁধার রাতে ঝরে ধুলায় ভোর বেলাতে আমায় তারা ডাকে সাথী আয়রে আয় সজল করুণ নয়ন তোলো দাও বিদায়।। ”
“আমার চক্ষে পুরুষ-রমণী কোনো ভেদাভেদ নাই। বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির-কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।”
“ছোটো ছোটো বিছেদ প্রেম কে গভীর করে। আর দীর্ঘ বিছেদ প্রেম কে হত্যা করে।”
“বল বীর-বল উন্নত মম শির! শির নেহারী আমারি নতশির ওই শিখর হিমাদ্রীর।”
“ও কারা! কোরাণ, বেদ, বাইবেল চুম্বিছে মরি মরি ও মুখ হইতে কেতাব গ্রন্থ নাও জোর করে কেড়ে, যাহারা আনিল গ্রন্থ-কেতাব সেই মানুষেরে মেরে পুজিছে গ্রন্থ ভন্ডের দল। মুর্খরা সব শোন মানুষ এনেছে গ্রন্থ; গ্রন্থ আনেনি মানুষ কোনও।”
“আমি নিজেই নিজের ব্যাথা করি সৃজন শেষে সেই আমারে কাদায়, যারে করি আপ নারি জন।”
“আসবে আবার আশিন হাওয়া, শিশির ছেঁচা রাত্রি। থাকবে সবাই, থাকবে না এই মরণ পথের যাত্রী। আসবে শিশির রাত্রি। থাকবে পাশে বন্ধু স্বজন, থাকবে রাতে বাহুর বাঁধন, বঁধুর বুকের পরশনে আমার পরশ আনবে মনে। বিষিয়ে ও বুক উঠবে, বুঝবে সেদিন বুঝবে।”
অনেক সময় খুব বেশি বিনয় দেখাতে গিয়ে নিজের সত্যেকে অস্বীকার করে ফেলা হয় । তাতে মানুষকে ক্রমেই ছোট করে ফেলে, মাথা নিচু করে আনে ও রকম মেয়েলি বিনয়ের চেয়ে অহংকারের পৌরুষ অনেক ভালো ।
“ আমি বন্ধনহারা কুমারীর বেনী, তন্বী নয়নে বহ্নি, আমি ষোড়শীর হৃদি-সরসিজ প্রেম উদ্দাম, আমি ধন্যি ”
”বিদ্রোহী মানে কাউকে না মানা নয়। যা বুঝিনা তা মাথা উঁচু করে বুঝি না বলা।”
“যত ফুল ততো ভুল কণ্টক জাগে, মাটির পৃথিবী তাই এতো ভালো লাগে।”
“স্বপনে কি যে কয়েছি তাই গিয়াছে চলে জাগিয়া কেদে ডাকি দেবতায় প্রিয়তম প্রিয়তম প্রিয়তম।”
“নুড়ি হাজার বছর ঝরণায় ডুবে থেকেও রস পায় না।”
“আপন পাপের বাটখারা দিয়ে অন্যের পাপ মাপি জবাবদিহির কেন এত ঘটা যদি দেবতাই হও টুপি পড়ে টিকি রেখে সদা বলো যেন তুমি পাপী নও পাপী নও। যদি কেন এ ভড়ং ট্রেডমার্কার ধুম পুলিশি পোশাক পরিয়া হয়েছ পাপের আসামী গুম।”
কাজী নজরুল ইসলাম এর প্রেরণামূলক উক্তি
“আবার গাঙ্গে আসবে জোয়ার, দুলবে তরী রঙ্গে। সেই তরীতে হয়তো কেহ থাকবে তোমার সঙ্গেে, দুলবে তরী রঙ্গে। পড়বে মনে সে কোন রাতে এক তরীতে ছিলে সাথে, এমনি গাঙে ছিল জোয়ার নদীর দুধার এমনি আধার তেমনি তরী ছুটবে, বুঝবে সেদিন বুঝবে।”
“সত্যবাক্য সে বড় কিছু নয়, কজন সত্য বান? সত্যবাদীরা কজন দিয়েছে সত্যের তরে প্রাণ?”
“বাহিরের স্বাধীনতা গিয়াছে বলিয়া অন্তরের স্বাধীনতাকেও আমরা যেন বিসর্জন না দিই।”
“ প্রেম হল ধীর প্রশান্ত ও চিরন্তন ”
“অন্ধের মতো কিছু না বুঝিয়া, না শুনিয়া, ভেড়ার মতো পেছন ধরিয়া চলিও না । নিজের বুদ্ধি, নিজের কার্যশক্তিকে জাগাইয়া তোলে”
“ কামনা আর প্রেম দুটি হচ্ছে সম্পুর্ণ আলাদা। কামনা একটা প্রবল সাময়িক উত্তেজনা মাত্র আর প্রেম হচ্ছে ধীর প্রশান্ত ও চিরন্তন। ”
“মিথ্যা শুনিনি ভাই এই হৃদয়ের চেয়ে বড়ো কোনও মন্দির-কাবা নাই।”
“গিন্নির চেয়ে শালী ভালো।”
“আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এমন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা।”
“পরোয়া করি না বাঁচি বা না বাঁচি, যুগের হুজুগ কেটে গেলে মাথার উপর জ্বলিছেন রবি, রয়েছে সোনার শত ছেলে।”
“কান্না হাসির খেলার মোহে অনেক আমার কাটল বেলা কখন তুমি ডাক দেবে মা, কখন আমি ভাঙব খেলা?”
“ভালোবাসা দিয়ে ভালোবাসা না পেলে তার জীবন দুঃখের ও জরতার ।”
“ কোনকালে একা হয়নিকো জয়ী, পূরুষের তরবারী; প্রেরনা দিয়েছে, শক্তি দিয়াছে, বিজয়ালক্ষী নারী ”
“ব্যার্থ না হওয়ার সব চাইতে নিশ্চিন্ত পথ হলো সাফল্য অর্জনে দৃঢ় সঙ্কল্প হওয়া”
সত্য যদি লক্ষ্য হয়, সুন্দর ও মঙ্গলের সৃষ্টি সাধনা ব্রত হয়, তবে তাহার লেখা সম্মান লাভ করিবেই করিবে॥
“ অঞ্জলি লহ মোর সংগীতে প্রদীপ-শিখা সম কাঁপিছে প্রাণ মম তোমারে সুন্দর, বন্দিতে সঙ্গীতে।। ”
“ আমার যাবার সময় হল দাও বিদায় মোছ আঁখি দুয়ার খোল দাও বিদায়।। ”
“হে দারিদ্র্য তুমি মোরে করেছ মহান।তুমি মোরে দিয়াছো খ্রিস্টের সম্মান।”
ধর্ম নিয়ে কাজী নজরুল ইসলাম এর উক্তি
“যুগের ধর্ম এই পীরণ করিলে সেই পীরন এসে পিরা দিবে তোমাকেই।”
“সত্য যদি লক্ষ্য হয়, সুন্দর ও মঙ্গলের সৃষ্টি সাধনা ব্রত হয়, তবে তাহার লেখা সম্মান লাভ করিবেই করিবে।”
“কপালে সুখ লেখা না থাকলে সে কপাল পাথরে ঠুকেও লাভ নেই। এতে কপাল যথেষ্টই ফোলে, কিন্তু ভাগ্য একটুও খোলে না।”
“ কারার ঐ লৌহকপাট, ভেঙ্গে ফেল কর রে লোপাট, রক্ত-জমাট শিকল পূজার পাষাণ-বেদী। ”
“বাহিরের স্বাধীনতা গিয়াছে বলিয়া অন্তরের স্বাধীনতাকেও আমরা যেন বিসর্জন না দিই।”
“তুমি আঘাত দিয়ে মন ফেরাবে এই কি তোমার আশা। আমার যে নত অনন্ত সাধ, অনন্ত পিপাসা।”
“মুক্ত বিহঙ্গের বন্য শিশু তুমি, তোমার পোষ মানায় কে?”
৪৮“নারীর বিরহে নারীর মিলনে নর পেল কবি-প্রাণ, যত কথা তার হইল, কবিতার শব্দ হইলো গান।”
“ফোটে যে ফুল আঁধার রাতে, ঝরে ধুলায় ভোর বেলাতে। আমায় তারা ডাকে সাথী আয়রে আয় সজল করুণ নয়ন তোলো দাও বিদায়।”
“সেই বসন্ত ও বর্ষা আসিবে ফিরে ফিরে, আসিবে না আর ফিরে অভিমানী মোর ঘরে।”
“চারিদিকে আজ ভীরুর মেলা, খেলবি কি আর নতুন খেলা? জোয়ার জলে ভাসিয়ে ভেলা বাইবি কি উজান? পাতাল ফেরে চলবি মাতাল সর্গে দিবি টান।”
“আইন যেখানে ন্যায়ের শাসক, সত্য বলিলে বন্দী হই, অত্যাচারিত হইয়া যেখানে, বলিতে পারিনা অত্যাচার।”
“আমার বুকের যে কাঁটা ঘা তোমায় ব্যথা হানত্ সেই আঘাতই যাচবে আবার হয়ত হয়ে শ্রান– আসবে তখন পান। হয়তো তখন আমার কোলে সোহাগ লোভে পড়বে ঢলে, আপনি সেদিন সেধে কেঁদে চাপবে বুকে বাহু বেঁধে, চরণ চুমে পূজবে, বুঝবে সেদিন বুঝবে।”
কাজী নজরুল ইসলামের ভালোবাসার উক্তি
“অনেক ছিল বলার যদি সেদিন ভালোবাসতে। পদ ছিল গো চোলার যদি দুদিন আগে আসতে।”
“গাহি সাম্যের গান, মানুষের চেয়ে বড়ো কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান।”
“ আসবে আবার আশিন-হাওয়া, শিশির-ছেঁচা রাত্রি, থাকবে সবাই – থাকবে না এই মরণ-পথের যাত্রী!
আসবে শিশির-রাত্রি! থাকবে পাশে বন্ধু স্বজন, থাকবে রাতে বাহুর বাঁধন, বঁধুর বুকের পরশনে
আমার পরশ আনবে মনে- বিষিয়ে ও-বুক উঠবে- বুঝবে সেদিন বুঝবে! ”
“ তোমারে যে চাহিয়াছে ভুলে একদিন, সে জানে তোমারে ভোলা কি কঠিন ”
“পুঁথির বিধান যাক পুড়ে, তোর বিধির বিধান সত্য হোক।”
“আসিবে তুমি জানি প্রিয়, আনন্দে বনে বসন্ত এলো ভুবন হল সরসা, প্রিয়-দরশা, মনোহর। বনানতে পবন অশান্ত হল তাই কোকিল কুহরে ঝরে গিরি নির্ঝরিণী ঝর ঝর।”
“গগনে কৃষ্ণ মেঘ দোলে–কিশোর কৃষ্ণ দোলে, বৃন্দাবনে থির সৌদামিনী রাধিকা দোলে নবীন ঘনশ্যাম সনে। দোলে রাধা শ্যাম ঝুলন-দোলায় দোলে আজি শাওনে।”
“কে আছ জোয়ান, হও আগুয়ান হাঁকিছে ভবিষ্যৎ। এ তুফান ভারী দিতে হবে পাড়ি, নিতে হবে তরী পার।”
“এই অসুন্দরের শ্রদ্ধা নিবেদনের শ্রাদ্ধ দিনে বন্ধু, তুমি যেন যেও না।”
“জানে সূর্যেরে পাবে না তবু অবুঝ সূর্যমুখী, চেয়ে চেয়ে দেখে তার দেবতারে দেখিয়াই সে যে সুখী।”
“আমার যাবার সময় হল। দাও বিদায়, মোছ আঁখি দুয়ার খোল দাও বিদায়।”
“মহা বিদ্রোহী রণক্লান্ত আমি সেই দিন হব শান্ত। যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দন-রোল আকাশে-বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়ুগ কৃপাণ ভীম রণ, ভূমে রণিবে না-বিদ্রোহী রণক্লান্ত আমি সেই দিন হব শান্ত।”
“অসত্যের কাছে কভু নত নাহি হবে শির, ভয়ে কাপে কাপুরুষ লড়ে যায় বীর।”
“স্বপন ভেঙ্গে নিশুত রাতে, জাগবে হঠাৎ চমকে, কাহার যেন চেনা ছোয়ায় উঠবে ও বুক ছমকে, জাগবে হঠাৎ ছমকে, ভাববে বুঝি আমিই এসে বসনু বুকের কোলটি ঘেষে ধরতে গিয়ে দেখবে যখন শুন্য শয্যা মিথ্যা স্বপন বেদনাতে চোখ বুজবে, বুঝবে সেদিন বুঝবে।”
“আসবে ঝড়ি, নাচবে তুফান, টুটবে সকল বন্ধন। কাপবে কুটির সেদিন ত্রাসে, জাগবে বুকে ক্রন্দন। টুটবে যবে বন্ধন, পড়বে মনে নেই সে সাথে বাধতে বুকে দুঃখ রাতে আপনি গালে যাচবে চুমা চাইবে আদর মাগবে ছোওয়া আপনি যেচে চুমবে বুঝবে সেদিন বুঝবে।”
“হয়তো তোমার পাবো দেখা, যেখানে ওই নত আকাশ চুমছে বনের সবুজ রেখা।”
“অসহায় জাতি মরিছে ডুবিয়া, জানেনা সন্তরণ, কান্ডারী। আজ দেখিবো তোমার মাতৃ মুক্তিপণ। হিন্দু না ওরা মুসলিম? ওই জিজ্ঞাসে কোন জন? কান্ডারী! বল ডুবিছে মানুষ, সন্তান মোর মা’র।”
কাজী নজরুল ইসলামের শিক্ষা বিষয়ক বাণী
“প্রেম হল ধীর প্রশান্ত ও চিরন্তন।”
“যেদিন আমি হারিয়ে যাবো বুঝবে সেদিন বুঝবে। অস্তপারের সন্ধ্যাতারায় আমার খবর পুঁছবে সেদিন বুঝবে।”
“অনেক কথা বলার মাঝে লুকিয়ে আছে একটি কথা। বলতে নারী সেই কথা যে তাই এ মুখর ব্যাকুলতা।”
“আমারে সকল ক্ষুদ্রতা হতে বাঁচাও প্রভু উদার। হে প্রভু! শেখাও নীচতার চেয়ে নীচ পাপ নাহি আর।” – কাজী নজরুল ইসলাম
“অভাবের দিনে প্রিয় অতিথি আসার মতো পীড়াদায়ক বুঝি আর কিছু নেই। শুধু হৃদয় দিয়ে দেবতার পূজা হয়তো করা যায়, কিন্তু শুধু হাতে অতিথিকে বরণ করা চলে না।”
“ মসজিদেরই পাশে আমার কবর দিও ভাই যেন গোরে থেকেও মোয়াজ্জিনের আজান শুনতে পাই। ”
“ শুণ্যে মহা আকাশে তুমি মগ্ন লীলা বিলাসে ভাঙ্গিছো গড়িছো নীতি ক্ষণে ক্ষণে নির্জনে প্রভু নির্জনে খেলিছো ”
“নামাজ পড়ো, রোজা রাখো, কলমা পড়ো ভাই, তোর আখেরের কাজ করে নে সময় যে আর নাই।”
“কামনা আর প্রেম দুটি হচ্ছে সম্পুর্ণ আলাদা। কামনা একটা প্রবল সাময়িক উত্তেজনা মাত্র আর প্রেম হচ্ছে ধীর প্রশান্ত ও চিরন্তন।”
“মৌলোভী যত মৌলবি আর মোল-লা’রা কন হাত নেড়ে দেব-দেবী নাম মুখে আনে সবে দাও পাজিটার জাত মেরেফতোয়া দিলাম কাফের কাজী ওযদিও শহীদ হইতে রাজি ওআমপারা পড়া হামবড়া মোরা এখনও বেড়াই ভাত মেরেহিন্দুরা ভাবে পার্শী শব্দে কবিতা লেখে ও পা’ত নেড়ে।”
“অসতী মাতার পুত্র সে যদি জারজ পুত্র হয়, অসৎ পিতার সন্তানও তবে জারজ সুনিশ্চিত।
“তব মসজিদ মন্দিরে প্রভু নাই মানুষের দাবী, মোল্লা পুরুত লাগায়েছে তার সকল দুয়ারে চাবী। কোথা চেঙ্গিস, গজনী, মামুদ, কালাপাহাড়? ভেঙে ফেল এ ভজনালয়ের যতো তালা দেওয়া দ্বার। খোদার ঘরে কে কপাট লাগায়, কে দেয় সেখানে তালা? সব দ্বার এর খোলা রবে, চালা হাতুড়ি শাবল চালা।”
“হাসি দিয়ে যদি লুকালে তোমার সারা জীবনের বেদনা, আজো তবে শুধু হেসে যাও, আজ বিদায় দিনে কেঁদোনা।”
আমাদের শেষ কথা
কাজী নজরুল ইসলামের উক্তি ও বাণী গুলি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এই নিবন্ধটি আপনার ভালো লেগে থাকলে আপনার প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করুন এবং এরকম সুন্দর সুন্দর আরও পোস্ট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ fb.com/banglaprotibedon ফলো করুন।