পুষ্টিগুণ

অ্যালোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং অ্যালোভেরা খাওয়ার নিয়ম

সূচিপত্র

Toggle

অ্যালোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা

অ্যালোভেরার উপকারিতা – আমাদের সকলের সুপরিচিত একটি বহুজীবী ভেষজ উদ্ভিদ হল অ্যালোভেরা (Aloe vera)। অ্যালোভেরার আর এক নাম ঘৃতকুমারী। এই অ্যালোভেরা গাছ দেখতে অনেকটা কাঁটাওয়ালা ফনিমনসা বা আনারস গাছের এর মত। অ্যালোভেরা ক্যাকটাস জাতীয় উদ্ভিদ নয়, এটি একটি লিলি প্রজাতির উদ্ভিদ। অ্যালোভেরার পাতা একটু মোটা হয়ে থাকে এবং পাতার দুই ধারে করাতের কাঁটার মতো দেখতে পাওয়া যায়। পাতার ভিতর অংশে পিচ্ছিল শাঁস বা জেলি থাকে।

এই গাছ ৬০ থেকে ১০০ সেন্টিমিটার লম্বা হয়ে থাকে এবং অ্যালোভেরার পাতা ১০ থেকে ২০ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। অ্যালোভেরাতে নানা ধরনের ভেষজ ঔষধি গুনাগুন আছে। অ্যালোভেরার পাতায় ২০ রকমের খনিজ পদার্থ রয়েছে যা মানবদেহের জন্য অতান্ত প্রয়োজন। আজ থেকে প্রায় ৬০০০ খ্রিস্টপূর্ব আগে থেকে অ্যালোভেরার নাম চিকিৎসা শাস্ত্রে উল্লিখিত রয়েছে। আদিকালে অ্যালোভেরা পাওয়া যেত উত্তর- আফ্রিকা এবং কেনারি দ্বীপপুঞ্জে। অ্যালোভেরা নামটি সর্বপ্রথম আবিষ্কার করেছিল “ক্যারলিনিয়াস” নামোক এক এমেরিকান নাগরিক।

অ্যালোভেরার পুষ্টি উপাদান

অ্যালোভেরাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক, পটাশিয়াম, ফলিক অ্যাসিড, অ্যামিনো অ্যাসিড ও ভিটামিন এ (vitamin A), ভিটামিন বি ২ (vitamin B 2), ভিটামিন বি ৬ (vitamin B 6), ইত্যাদী।

অ্যালোভেরার জেল রূপচর্চা থেকে শুরু করে, বিভিন্ন প্রকার আয়ুর্বেদিক ঔষধি হিসাবেও ব্যবহার করা হয়। অ্যালোভেরাতে উপস্থিত অ্যান্টি- ইনফ্লেমেটরি উপাদান, ছোটখাটো পুড়ে যাওয়া বা কেটে যাওয়া ক্ষত স্থান গুলি খুব দ্রুত সারিয়ে তুলতে সক্ষম। এছাড়াও অ্যালোভেরা জেল অথবা অ্যালোভেরা জুস আমাদের শরীরের নানা রকম রোগ ব্যাধি থেকে নিরাময় দিতে সক্ষম। অ্যালোভেরার জুস তৈরি করে যদি হেলথ ড্রিঙ্ক হিসেবে অ্যালোভেরা জুস পান করা হয় তবে শরীরের পক্ষে খুবই কার্যকরী।

অ্যালোভেরাতে উপস্থিত রয়েছে বিশেষ ঔষধি গুনাগুন, যা মানবদেহের ছোটখাটো রোগ থেকে খুব দ্রুত নিরাময় দিতে পারে। প্রাচীন কাল থেকেই রূপচর্চার জন্য অ্যালোভেরার ব্যবহার হয়ে আসছে। প্রাচীনকালে রাজরানী -রাও তাদের রূপচর্চা করার জন্য অ্যালোভেরার ব্যবহার করে থাকতেন। সারা পৃথিবীতে প্রায় ২৫০ ধরনের অ্যালোভেরার প্রজাতি রয়েছে কিন্তু তার মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হয়ে থাকে দুই প্রজাতির অ্যালোভেরা। অ্যালোভেরা পাতা দিয়ে তৈরি জেল এর মধ্যে উপস্থিত রয়েছে “অ্যামিনো অ্যাসিড”, যা মানবদেহের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী বিষয়ে যতই বলি না কেন, ততই যেন কম হয়ে যায়। তাই আজ আমরা আপনাদের সামনে অ্যালোভেরার উপকারিতা নিয়ে হাজির হয়েছি। আসুন এক নজরে দেখে নিন অ্যালোভেরার উপকারিতা গুলি –

অ্যালোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং অ্যালোভেরা খাওয়ার নিয়ম

অ্যালোভেরার উপকারিতা

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি –

অ্যালোভেরাতে উপস্থিত রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ উপাদান। যা মানবদেহের মানসিক চাপ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সক্ষম। পৃথিবীর কিছু কিছু উদ্ভিদে ভিটামিন বি ১২ (Vitamin B 12) উপস্থিত রয়েছে। তাদের মধ্যে একটি অন্যতম উদ্ভিদ হল অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী।

হজম প্রক্রিয়া –

হজম জনিত সমস্যা থেকে খুব দ্রুত মুক্তি দিতে পারে অ্যালোভেরা। অনেকেরই হজম জনিত সমস্যা রয়েছে। হজম জনিত সমস্যা থাকলে, মানবদেহে নানা ধরনের রোগ ব্যাধি বসবাস বাঁধতে শুরু করে। তাই হজম জনিত সমস্যা থেকে নিরাময় পেতে হলে প্রতিনিয়ত অ্যালোভেরা জুস অথবা অ্যালোভেরার রস পান করুন। অ্যালোভেরা হজম এর পাশাপাশি মানবদেহের রেচনযন্ত্র কে নানা ধরনের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে।

ওজন কমাতে –

শরীরের ওজন কমাতে অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারীর জুস খুবই কার্যকরী। অ্যালোভেরায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান উপস্থিত রয়েছে, যা শরীরের বাড়তি চর্বি ও মেদ কমাতে সাহায্য করে। কোন প্রকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই দেহের ওজন কমাতে সক্ষম অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী।

ডায়াবেটিস –

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে অ্যালোভেরার রস বা অ্যালোভেরার জুস খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।  পুষ্টিবিদদের মতে অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারীর রস রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমিয়ে আনতে সাহায্য করে। যার ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।

হার্ট ও দাঁতের যত্নে –

অ্যালোভেরায় উপস্থিত রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা মানুষের দেহের কোলেস্টরলের মাত্রা কমিয়ে আনতে সক্ষম। শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যাওয়ার ফলে, দেহ থেকে দূষিত রক্ত বার হয়ে যায়। যার ফলে হৃদযন্ত্র বা হার্ট সুস্থ থাকে। অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী জুস যে কোন প্রকার ইনফেকশন থেকে নিরাময় দিতে সক্ষম। এছাড়াও মাড়ি ব্যথা এবং দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা থেকে নিরাময় দিতে সাহায্য করে।

পিম্পলস দূর করতে –

ত্বকের সুন্দর্য ফিরিয়ে আনতে ও পিম্পলস দূর করতে অ্যালোভেরার ভূমিকা অতুলনীয়। ঘামের কারণে ত্বকের উপর অতিরিক্ত পরিমানে তেলচিটে ভাব সৃষ্টি হয়। যার ফলে অনেক মানুষের মুখের উপর ব্রণের সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। ব্রণ -এর সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারীর জেল ব্যবহার করুন দিনে দুবার। কয়েকদিন ব্যবহার করলেই এর উপকার বুঝতে পারবেন।

ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরার উপকারিতা –

ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরা ভূমিকা অপরিসীম। ত্বকের যত্ন নিতে মহা ঔষধ হিসাবে অ্যালোভেরার জেল বহু বছর ধরেই ব্যবহার হয়ে আসছে। ত্বকের যেকোনো সমস্যা যেমন, রোদে পোড়া দাগ, র‍্যাস এবং চুলকানির মতো সমস্যা থেকে নিরাময় দিতে অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী খুবই উপকারী একটি উদ্ভিদ। অ্যালোভেরার জেল সরাসরি ত্বকের উপর লাগালে ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বল হয়। নিয়মিত অ্যালোভেরার জেল ত্বকে লাগালে, ত্বকে বার্ধক্য ছাপ পড়েনা। যদি নিয়মিত অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারীর জেল আপনার ত্বকে ব্যবহার করেন তাহলে আপনিও আপনার সুন্দর স্ক্রিনকে আরও উজ্জ্বল এবং লাবণ্যময় করে তুলতে পারবেন।

উচ্চ কোলেস্টেরল কমাতে –

মানব দেহে কোলেস্টেরলের উপস্থিতি খুবই প্রয়োজন। তবে যদি শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বিপুল পরিমানে বেড়ে যায়, তাহলে নানা ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন। অতিরিক্ত পরিমাণে কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার ফলে হার্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে।  অ্যালোভেরাতে রয়েছে বিশেষ ঔষধি গুনাগুন, যা শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম।

কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য –

কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দিতে অ্যালোভেরার ভূমিকা অতুলনীয়। অনেক মানুষই কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যায় ভুগে থাকেন। তবে এই কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দিতে পারে অ্যালোভেরার রস। আপনি যদি কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে ঘরোয়া পদ্ধতিতে নিয়মিত অ্যালোভেরার রস পান করুন।

ফেসওয়াশ হিসেবে অ্যালোভেরা ব্যবহার –

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে অনেকে, অনেক ধরনের ফেসওয়াশ ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু অন্যান্য ফেসওয়াশ বা ফেস ক্রিম ব্যবহার না করে যদি অ্যালোভেরা তৈরি জেল ব্যবহার করেন, তাহলে খুবই উপকার পাবেন। অ্যালোভেরার জেল মুখে হালকা করে লাগিয়ে নিন, ১৫ থেকে ২০ মিনিট এটি রাখার পর ভাল করে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত কয়েকদিন এটি লাগালে এর উপকার নিজেই লক্ষ্য করতে পারবেন।

চুলের যত্নে অ্যালোভেরার উপকারিতা

চুলের জন্য অ্যালোভেরার গুরুত্ব অপরিসীম। চুলের যত্ন নিতে অ্যালোভেরার বিষয়ে যতই বলি না কেন, ততই যেন কম মনে হয়। বর্তমান সময়ে, প্রায় সকল মেয়েদেরই বড় সমস্যা হল চুল পড়া। তবে এই চুল পড়া থেকে মুক্তি দিতে পারে অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী । এছাড়াও অ্যালোভেরা চুল ঘন এবং মসৃণ করতে সহায়তা করে। অ্যালোভেরাতে উপস্থিত রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং এন্টি-ফাঙ্গাস উপাদান যা খুশকি এবং চুল পড়ার মত সমস্যা দূর করে এবং চুলের গোঁড়া মজবুত করে। এছাড়াও চুলের যত্ন নিতে অ্যালোভেরার কয়েকটি ঘরোয়া পদ্ধতি নিম্নে দেওয়া হল –

এলোভেরা ও লেবু দিয়ে চুলের যত্ন –

একটি অ্যালোভেরার তাজা পাতা নিন এবং সেটির থেকে জেল সংগ্রহ করে নিন। অ্যালোভেরা জেল এর সঙ্গে পরিমান মতো লেবুর রস ও আমলার রস মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে ফেলুন। চুল ধুয়ে আসার পর এই মিশ্রণটি ভালোভাবে মাথায় লাগিয়ে ফেলুন। এই মিশ্রণটি ব্যবহারে চুলের গোড়া মজবুত হয়।

চুলের যত্নে ডিম ও অ্যালোভেরা –

একটি ডিমের কুসুমের সঙ্গে পরিমাণ মতো অ্যালোভেরা জেল নিন, তারপর এটি ভালোভাবে মিশ্রণ করে চুলে লাগিয়ে ফেলুন। প্রায় ৩০ থেকে ৪০ মিনিট এই মিশ্রণটি মাথায় লাগিয়ে রাখার পর ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এটি চুল পড়া রোধ করে এবং চুলের গোড়া মজবুত রাখে।

অ্যালোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং অ্যালোভেরা খাওয়ার নিয়ম

এলোভেরা জেল কিভাবে বানাবো

অ্যালোভেরা জেল তৈরির নিয়ম – অ্যালোভেরা জেল তৈরি করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে তাজা অ্যালোভেরার পাতা সংগ্রহ করতে হবে। তারপর অ্যালোভেরা পাতার দুই পাশ কেটে কিছুক্ষণের জন্য রেখে দিন। ৫ থেকে ৬ মিনিট অপেক্ষা করার পর দেখবেন কাটা অংশ থেকে হলুদ রঙের কিছু রস বেরিয়ে আসছে। অ্যালোভেরা থেকে বেরিয়ে আসা এই হলুদ পদার্থ শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। হলুদ রঙের পদার্থ টিসু পেপার দিয়ে ভালোভাবে বুঝে নিন।

হলুদ রঙের পদার্থটি মুছে নেওয়ার পর অ্যালোভেরা পাতার ভেতরের রসালো অংশটি কে বার করে নিয়ে একটি বাটিতে রাখুন এবং পরিমাণমতো গোলাপ জল ঢেলে একটি মিশ্রণ তৈরি করে ফেলুন। অ্যালোভেরা জেলের মধ্যে গোলাপ জল ঢেলে দিলে বুদবুদ বেরোনো শুরু হবে। গোলাপজল দিয়ে মিশ্রন করে ২০ থেকে ৩০ মিনিট রেখে দিন। ব্যাস, হয়ে গেল আপনার অ্যালোভেরা জেল।

কিভাবে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করবেন জানুন

আমরা অনেকেই অ্যালোভেরার উপকারিতা সম্পর্কে জানি। কিন্তু কীভাবে অ্যালোভেরার জেল আমরা ব্যবহার করব সেই সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। কিভাবে আমরা অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করব সেই বিষয় নিম্নে আলোচনা করা হয়েছে।

এলোভেরা জেল ত্বকে ব্যবহারের নিয়ম –

অ্যালোভেরা জেল ত্বকে ব্যবহার করার জন্য সর্বপ্রথম হাত মুখ ভালো ভাবে ধুয়ে আসতে হবে। যেখানে অ্যালোভেরা জেল লাগাবেন সেই স্থানটিও ভালোভাবে জল দিয়ে ধুয়ে আসুন। তারপর একটি তাজা অ্যালোভেরা পাতা নিয়ে ভেতরের আঁশযুক্ত রসালো অংশটি সংগ্রহ করে নিন। অ্যালোভেরা জেল সংগ্রহ করার পর, ভালভাবে মুখে ও ত্বকে মেখে নিন। ত্বকে মাখার ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর এটি ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।

অ্যালোভেরা খাওয়ার নিয়ম

অ্যালোভেরা ছোট থেকে বড় সকল মানুষই খেতে পারেন। অ্যালোভেরার একাধিক গুনাগুন রয়েছে, যার ফলে এর উপকারিতাও রয়েছে একাধিক। তবে অ্যালোভেরার নিয়ম মেনে খাওয়া উচিত। অ্যালোভেরা জুস বানিয়ে খেলে শরীরের পক্ষে বেশি কার্যকরী। প্রতিনিয়ত সকাল বেলায় খালি পেটে যদি অ্যালোভেরা জুস খান, তাহলে উপকার বেশি পাবেন।

অ্যালোভেরার অপকারিতা

প্রত্যেকটি জিনিসের যেমন ভাল দিক আছে, তেমনি তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও থাকে। সেই অনুযায়ী অ্যালোভেরার ভালো দিক এর পাশাপাশি, কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে। তাই নিয়ম করে পরিমান মত অ্যালোভেরা ব্যবহার করুন। অতিরিক্ত পরিমাণে অ্যালোভেরা ব্যবহার করলে কি কি ক্ষতি হতে পারে তা নিম্নে একটি তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। আসুন এক নজরে দেখে নিন অ্যালোভেরার অপকারিতা গুলি –

  • অতিরিক্ত পরিমাণে অ্যালোভেরা জুস সেবন করলে প্রস্রাবের রং লালচে ভাব হয়ে যেতে পারে।
  • পরিমাণমতো অ্যালোভেরা খাওয়া ভালো। কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে অ্যালোভেরা খেলে ডায়রিয়া হতে পারে।
  • যাদের এলার্জি রয়েছে, তাদের অতিরিক্ত পরিমাণে অ্যালোভেরা ব্যবহারের অ্যালার্জি জনিত সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে।
  • গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী মহিলারা অ্যালোভেরা থেকে দূরে থাকুন।

 আমাদের শেষ কথা 

অ্যালোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং অ্যালোভেরা খাওয়ার নিয়ম সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এই নিবন্ধটি আপনার ভালো লেগে থাকলে আপনার প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করুন এবং এরকম সুন্দর সুন্দর আরও পোস্ট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ fb.com/banglaprotibedon ফলো করুন।

Avinas Mondal

Hello, My name is Avinas Mandal. I am currently a Content Writer for Banglaprotibedon.com. I have been writing for 2 years.

Recent Posts

জনপ্রিয় কবি মোঃ হেদায়েতুল ইসলামের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উক্তি ও বাণী সমূহ

মোঃ হেদায়েতুল ইসলামের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উক্তি ও বাণী - আজ আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরব…

1 year ago

প্রভু জগদ্বন্ধু সুন্দরের ১০৮ নাম | Lord Jagadbandhu 108 Name

প্রভু জগদ্বন্ধু সুন্দরের ১০৮ নাম - জগদ্বন্ধু সুন্দর ১৮৭১ সালের ২৮শে এপ্রিল ব্রিটিশ ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলায়…

2 years ago

হ্যাপি হোলির শুভেচ্ছা বার্তা ও স্ট্যাটাস | দোলযাত্রার শুভেচ্ছা বার্তা | Happy Holi Wishes

হ্যাপি হোলির শুভেচ্ছা বার্তা ও স্ট্যাটাস বা দোলযাত্রার শুভেচ্ছা বার্তা - বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ।…

2 years ago

মার্ক টোয়েনের উক্তি ও বাণী সমূহ | Mark Twain Quotes in Bengali

মার্ক টোয়েনের উক্তি ও বাণী - মার্ক টোয়েন ছিলেন একজন মার্কিন রম্য লেখক, সাহিত্যিক ও প্রভাষক।…

2 years ago

কাজী নজরুল ইসলামের উক্তি ও বাণী সমূহ | Kazi Nazrul Islam Quotes

কাজী নজরুল ইসলামের উক্তি ও বাণী - কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন একজন বিংশ শতাব্দীর প্রধান…

2 years ago

সক্রেটিসের উক্তি ও বাণী সমুহ | Socrates Quotes in Bengali

সক্রেটিসের উক্তি ও বাণী সমুহ -  সক্রেটিস ছিলেন একজন প্রাচীন গ্রিক দার্শনিক। সক্রেটিসের তেমন কোন…

2 years ago