লবঙ্গের উপকারিতা ও অপকারিতা
লবঙ্গের উপকারিতা ও অপকারিতা – রান্নার মসলা হিসেবে লবঙ্গ আমরা প্রায় সকলেই চিনি। লবঙ্গের ইংরেজি নাম হল clove এবং এর বিজ্ঞানসম্মত নাম হল Syzygium aromaticum । লবঙ্গ গাছের ফুলের কুঁড়ি শুকিয়ে তৈরি হয় লবঙ্গ। শরীরের বেদনানাশক এবং জীবানুনাশক উপদান উপস্থিতি রয়েছে লবঙ্গে । লবঙ্গ দিয়ে তৈরি তেলে প্রচুর পরিমাণে ইউজেনল উপাদান উপস্থিত রয়েছে, যা মানব দেহের জন্য খুবই কার্যকরী।
লবঙ্গের পুষ্টি উপাদান
লবঙ্গ দিয়ে তৈরি তেলে উপস্থিত রয়েছে নানা ধরনের উপাদান যেমন- অ্যাসিটাইল ইউজেনল, র্যা ম্নেটিন, ইউজেনটিন, ভ্যানিলিন, ট্রি-টেরপেনয়েড, ট্যানিন, মিথাইল স্যালিসাইলেট, ফ্ল্যাভানয়েড, ইউজেনিন, গ্যালোট্যানিক অ্যাসিড, ক্লিনোলিক অ্যাসিড, বেটা-ক্যারোফাইলিন, স্টিগ্মাস্টেরল, ক্র্যাটেগলিক অ্যাসিড, সেস্কুইটার্পিন।
পাশাপাশি উপস্থিত রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ যার মধ্যে রয়েছে- আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম এবং জিঙ্ক উপাদান।
এছাড়াও ভিটামিন এ (Vitamin A), ভিটামিন সি (Vitamin C), ভিটামিন ডি (Vitamin D), ভিটামিন ই (Vitamin E), ভিটামিন কে (Vitamin K), ভিটামিন বি-৬ (Vitamin B 6), ভিটামিন বি-১২ (Vitamin B 12), ফোলেট, থায়ামিন, রাইবোফ্লাভিন এবং নিয়াসিন এর মতো উপাদান উপস্থিত রয়েছে লবঙ্গে।
USDA (United States Department of Agriculture) এর দ্বারা জানা গিয়েছে, প্রতি ১০০ গ্রাম লবঙ্গে, প্রোটিন রয়েছে ৬ গ্রাম, লিপিড রয়েছে ১৩ গ্রাম ,কার্বোহাইড্রেট রয়েছে ৬৫ গ্রাম , সুগার রয়েছে ২ গ্রাম , শক্তি রয়েছে ২৭৪ কিলো-ক্যালোরি এবং ডায়েটারি ফাইবার রয়েছে ৩৩ গ্রাম।
লবঙ্গ সম্পূর্ণ পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং আমরা প্রায় সকলেই এটি খেয়ে থাকি। কিন্তু আমরা হয়তোলবঙ্গের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই জানিনা। তাই আজ আমরা আপনাদের সামনে নিয়ে এসেছি লবঙ্গের উপকারিতা ও অপকারিতা। আসুন এক নজরে দেখে নিন লবঙ্গের উপকারিতা ও অপকারিতা গুলি –
লবঙ্গের উপকারিতা
দাঁতের ব্যথা কমায়-
দাঁতের ব্যথা দূর করতে এবং মাড়ি ক্ষয় থেকে নিরাময় দিতে লবঙ্গের ভূমিকা অপরিসীম। লবঙ্গতে উপস্থিত রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি (anti-inflammatory) উপাদান, যা সেবন করার কিছুক্ষণের মধ্যেই দাঁতের যন্ত্রণা থেকে নিরাময় দিতে সক্ষম। পাসাপাশি মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে বিশেষ ভুমিকা পালন করে এই লবঙ্গ। এছাড়াও লবঙ্গ টুথপেস্ট তৈরীর কাজে ব্যাবহার হয়ে থাকে। লবঙ্গ দাঁত এবং দাঁতের মাড়ির জন্য খুবই উপকারী একটি উপাদান।
হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি –
হজম ক্ষমতা বৃদ্ধিতে লবঙ্গ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। কারণ লবঙ্গতে উপস্থিত রয়েছে প্রচুর পরিমানে ফাইবার, যা হজম ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি ছাড়াও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা, ডিসপেপসিয়া, এরাফ্লাটুলেন্স, এবং নসিয়ার মতো সমস্যা হাত থেকে মুক্তি দিতে সক্ষম লবঙ্গ।
হাড়ের স্বাস্থ্য –
হাড় শক্ত এবং মজবুত করতে লবঙ্গের ভূমিকা অপরিসীম। লবঙ্গতে উপস্থিত রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ইউজিনল ডেরিভাটিভস এবং ফেনোলিক কম্পাউন্ড-ইউজিনল উপাদান, যা দেহে হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ম্যাঙ্গানিজের প্রধান উৎস হল লবঙ্গ। তাই হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় ক্যালসিয়ামের মত ভুমিকা পালন করে এটি। হাড়ের সমস্যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বয়স্ক এবং নারীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। তবে প্রতিনিয়ত নিয়ম করে লবঙ্গ সেবন করলে হাড়ের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
মাথা ব্যথা ও মাথা যন্ত্রণা-
মাথা ব্যথা কমাতে কার্যকরী ভুমিকা পালন করে লবঙ্গ। অনেকেই আছেন যাদের রোদ্দুরে অথবা ঠান্ডার জন্য মাথা ব্যথা করে থাকে। তবে এই মাথা ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে নিয়ম করে প্রতিনিয়ত ২ টি করে লবঙ্গ চিবিয়ে খান। এটি কয়েক দিন খেলেই এর উপকার লক্ষ করতে পারবেন।
স্ট্রেস কমাতে-
ক্লান্তি ভাব বা স্ট্রেস কমাতে লবঙ্গ খুবই উপকারী একটি উপাদান। প্রতিনিয়ত নিয়ম করে ১ টি অথবা ২ টি করে লবঙ্গ যদি মুখে দিয়ে সেটি চুষে খান, তাহলে স্ট্রেস অথবা ক্লান্তি ভাব থেকে মুক্তি পাবেন।
বমি বমি ভাব দূর করে-
অনেকেই আছেন যাদের যানবাহনে চড়লেই বমি বমি ভাব হয়। তবে এই বমি ভাব থেকে নিরাময় পেতে হলে গাড়িতে ওঠার আগে ১ থেকে ২ টি লবঙ্গ মুখে দিয়ে রাখুন। লবঙ্গের ঝাঁঝালো সুন্দর গন্ধ গাবমি বমি ভাব থেকে দূর করতে সাহায্য করে।
খাবারে রুচি বৃদ্ধি করে-
হজম শক্তি ও খাবারের রুচি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে লবঙ্গ। বিভিন্ন রোগ, যেমন বিশেষ করে জ্বর, সর্দি-কাশি এবং পেটের বিভিন্ন রকমের সমস্যা দেখা দেওয়ার ফলে খাবারে রুচি কমে যায়। খাবারের প্রতি অরুচি ভাব দূর করতে প্রতিনিয়ত নিয়ম করে হালকা আঁচে লবঙ্গ ভেজে চূর্ণ (গুঁড়ো) করে যদি সকালে অথবা রাত্রে খাওয়ার পরে ওই লবঙ্গ গুঁড়ো খাওয়া হয়, তাহলে খাবারের প্রতি রুচি বৃদ্ধি পাবে এবং শরীর সুস্থ সবল হয়ে উঠবে।
রক্ত পরিশোধনে –
রক্তে উপস্থিত থাকা ক্ষতিকর উপাদান গুলি বাইরে বের করে দিতে সক্ষম লবঙ্গ। কারণ লবঙ্গতে উপস্থিত রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি ব্যাক্টিরিয়াল উপাদান। তাই রক্ত পরিশোধন করতে লবঙ্গের ভূমিকা অপরিসীম।
ক্যান্সার প্রতিরোধে –
বহুবছর ধরে ক্যান্সারের ঔষধ হিসেবে লবঙ্গের ব্যবহার হয়ে আসছে। কারণ লবঙ্গ হলো অ্যান্টি অক্সিডেন্টের আধার, যা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম। একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় জানা গিয়েছে, নিয়মিত লবঙ্গ সেবন করলে শরীরে কোনো রকম টিউমার থাকলে সেটির বৃদ্ধিতে বাধা প্রাপ্ত করে এবং ক্যান্সারের কোষগুলিকে মেরে ফেলতে সাহায্য করে এই লবঙ্গ। লবঙ্গ ব্রেস্ট ক্যান্সারের জন্য খুবই উপকারী একটি উপাদান। তবে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীরা লবঙ্গ খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
জ্বর কমাতে –
লবঙ্গতে উপস্থিত রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই (vitamin e) এবং ভিটামিন কে (vitamin k) এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। এছাড়াও শরীরে যে কোনো রকমের রোগ সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করতে সক্ষম লবঙ্গ। তাই শরীর সুস্থ সবল রাখতে নিয়মিত লবঙ্গ খাওয়া উচিত।
লিভারের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে –
লবঙ্গতে উপস্থিত রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান যা টক্সিক বা বিষক্রিয়া পদার্থ গুলিকে শরীর থেকে বের করে দিতে সাহায্য করে। যার ফলে শুধু লিভারের কার্য ক্ষমতাই নয়, দেহের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের কার্য ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে লবঙ্গ।
ব্রণের চিকিৎসায়-
বহুকাল ধরে ব্রণের চিকিৎসার ঔষধ হিসাবে লবঙ্গের ব্যবহার হয়ে আসছে। ব্রণের দাগ থেকে মুক্তি পেতে লবঙ্গ দিয়ে তৈরি লবঙ্গের পেস্ট ব্যবহার করুন। পাশাপাশি প্রতিনিয়ত লবঙ্গ খেলে ব্রণের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে –
লবঙ্গ দিয়ে তৈরি লবঙ্গের তেলে উপস্থিত রয়েছেন ভোলাটাইল উপাদান যা শরীরে থাকা টক্সিক উপাদান গুলি বের করে দিতে সাহায্য করে। যার ফলে লবঙ্গের তেল ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে –
ডায়াবেটিসের মতো রোগ থেকে নিরাময় দিতে লবঙ্গ খুবই উপকারী একটি উপাদান। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে শরীরে যতটা পরিমাণ ইনসুলিনের প্রয়োজন ততটা পরিমাণ ইনসুলিন শরীর উৎপাদন করতে পারে না। একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় জানা গিয়েছে যে, লবঙ্গ শরীরে ইনসুলিন উৎপাদন করতে সাহায্য করে এবং দেহের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে এবং রক্তে সুগারের মাত্রা হ্রাস পায়। রক্তে শর্করার মাত্রা হ্রাস পেলে ডায়াবেটিসও নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই প্রতিনিয়ত যদি লবঙ্গ সেবন করেন, তাহলে ডায়াবেটিসের মতো রোগের হাত থেকে মুক্তি পাবেন।
আর্থ্রাইটিসের যন্ত্রণা কমায়-
আর্থ্রাইটিস এর মত রোগের হাত থেকে মুক্তি দিতে সক্ষম লবঙ্গ। কারণ লবঙ্গে উপস্থিত রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা হাঁটুর ব্যথা, জয়েন্টের ব্যথা, পেশির ব্যথা, এবং ফোলা ভাব কমাতে সাহায্য করে। তাই প্রতিনিয়ত নিয়ম করে লবঙ্গ খান।
সর্দি-কাশি –
সর্দি-কাশির মহাঔষধ হিসাবে লবঙ্গের ব্যবহার হয়ে আসছে। সর্দি-কাশি ও মুখের নানা ধরনের রোগ ব্যাধি থেকে মুক্তি দিতে লবঙ্গ খুবই উপকারী একটি উপাদান। লবঙ্গ শরীরকে গরম রাখতে সাহায্য করে, যার ফলে সরদি-কাশি থেকে খুব দ্রুত নিরাময় পাওয়া যায়।
পেটের সমস্যা সমাধানে –
লবঙ্গ খেলে দেহের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে এনজাইম উপাদান গঠিত হয়। এই উপাদান গঠিত হওয়ার ফলে পেট ফাঁপার মতো সমস্যা থেকে নিরাময় পেতে পাবেন। তবে শুধু পেট ফাঁপাই নয়, এছাড়াও আরও অনেক সমস্যা রয়েছে, যেমন – বদহজম, খিদে না হওয়া, পেট ব্যথা, পেটের গ্যাস -এ ধরনের সমস্যা থেকে খুব দ্রুত নিরাময় দিতে সক্ষম লবঙ্গ।
বায়োঅ্যাক্টিভ উপাদান বিদ্যমান-
লবঙ্গতে উপস্থিত রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়া, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটোরি, অ্যান্টি-কারসিনোজেনিক,হেপাটো-প্রোটেক্টিভ,সহ নানা ধরনের বায়ো-অ্যাক্টিভ উপাদান। যা শরীরের যেকোনো ধরনের জীবাণু বা ভাইরাসকে মেরে ফেলতে সাহায্য করে।
সাইনাস ইনফেকশনের প্রকোপ কমায়-
চিকিৎসকদের মতে লবঙ্গতে উপস্থিত রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ইগুয়েন নামক উপাদান, যা সাইনোসাইটিসের মতো রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার হয়ে থেকে। তবে সাইনাস ইনফেকশনের প্রকোপ কমাতে সক্ষম লবঙ্গ।
লবঙ্গ -তে উপস্তিত পুষ্টিগুন
লবঙ্গ -তে উপস্থিত পুষ্টিগুণ গুলি নিন্মে তালিকাভুক্ত করা হল –
পুষ্টিগুণ ও পরিমাণ
প্রোটিন | ৩.২৭ গ্রাম |
ফ্যাট | ০.১৫ গ্রাম |
ফাইবার | ৫.৪ গ্রাম |
শক্তি | ৪৭ কিলো ক্যালোরি |
কোলেস্টেরল | ০ মিলিগ্রাম |
কার্বোহাইড্রেট | ১০.৫১ গ্রাম |
ভিটামিন
ভিটামিন এ | ১৩ IU |
ভিটামিন সি | ১১.৭ মিলিগ্রাম |
ভিটামিন ই | ০.১৯ মিলিগ্রাম |
ভিটামিন কে | ১৪.৮ ug |
ফোলেট | ৬৮ মাইক্রো গ্রাম |
নিয়াসিন | ১.০৪৬ গ্রাম |
থিয়ামিন | ০.০৭২ মিলিগ্রাম |
পাইরোডক্সিন | ০.১১৬ মিলিগ্রাম |
প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড | ০.৩৩৮ মিলিগ্রাম |
রাইবোবোফ্ল্যাবিন | ০.০৬৬ গ্রাম |
ইলেক্ট্রোলাইট
পটাশিয়াম | ৩৭০ মিলিগ্রাম |
সোডিয়াম | ৯৪ মিলিগ্রাম |
মিনারেল
আয়রন | ১.২৮ মিলিগ্রাম |
ক্যালসিয়াম | ৪৪ মিলিগ্রাম |
ম্যাগনেসিয়াম | ৬০ মিলিগ্রাম |
ম্যাঙ্গানিজ | ০.২৫৮ মিলিগ্রাম |
কপার | ০.২৩১ মিলিগ্রাম |
জিঙ্ক | ২.৩২ মিলিগ্রাম |
ফসফরাস | ৯০ মিলিগ্রাম |
সেলেনিয়াম | ৭.২ মাইক্রো গ্রাম |
ফাইট নিউট্রিয়েন্ট
ক্যারোটিন এ | ৮ মাইক্রো গ্রাম |
ক্যারোটিন এ | ৪৬৪ মাইক্রো গ্রাম |
বিটা ক্রিপ্টো জ্যানথিন | ০ মাইক্রো গ্রাম |
লবঙ্গ খাওয়ার নিয়ম
রান্নার মসলা হিসেবে আমরা লবঙ্গ ব্যবহার করে থাকি। তবে রান্নার মসলা ছাড়াও আর কি কি ভাবে লবঙ্গ খাওয়া যায় তার কিছু বিবরণ নিন্মে দেওয়া হল। আসুন এক নজরে দেখে নিন লবঙ্গ খাওয়ার নিয়ম গুলি –
- সর্দি-কাশি লাগলে লবঙ্গ চায়ের সঙ্গে খাওয়া যায়।
- গরম জলে ফুটিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
- মধুর সঙ্গে লবঙ্গ খাওয়া যায়।
- সকাল বেলায় খালি পেটে লবঙ্গ খেলে উপকার বেশি পাওয়া যায়।
- ৫-৬ টি লবঙ্গ গরম জলে ফুটিয়ে চা বানিয়ে খেতে পারেন, এতে সর্দি কাশি থেকে নিরাময়ের পাবেন।
- উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যা থেকে থাকলে লবঙ্গ চিবিয়ে খেতে পারেন।
লবঙ্গের অপকারিতা
প্রত্যেক খাবারের যেমন ভালো গুন থাকে তার পাশাপাশি তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও থাকে। সেই অনুযায়ী লবঙ্গের ভালো দিক এর পাশাপাশি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও রয়েছে। তাই অতিরিক্ত পরিমাণে লবঙ্গ খাওয়ার ফলে কি কি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে তা নিম্নে তালিকা ভুক্ত করা হল। আসুন একনজরে দেখে নিন লবঙ্গের অপকারিতা গুলি-
- অতিরিক্ত পরিমাণে লবঙ্গ খেলে শরীরের রক্ত পাতলা হয়ে যেতে পারে।
- অতিরিক্ত পরিমাণে লবঙ্গ খেলে হাইপোগ্লাইসেমিয়ার মতো সমস্যা হতে পারে।
- লবঙ্গের তেল অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যবহার করার ফলে এলার্জি দেখা দিতে পারে।
আমাদের শেষ কথা
লবঙ্গের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং লবঙ্গ খাওয়ার নিয়ম সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এই নিবন্ধটি আপনার পড়ে ভালো লেগে থাকলে আপনার প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করুন এবং এরকম সুন্দর সুন্দর আরও পোস্ট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ fb.com/banglaprotibedon ফলো করুন।