ঘট ভরা কবিতা টির রচয়িতা হলেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলেন একজন বাঙালি কবি, সাহিত্যিক, ছোটগল্পকার, নাট্যকার, সংগীতস্রষ্টা, শিল্পী ও দার্শনিক। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থ ইংরেজি ভাষায় অনুবাদ করার জন্য নোবেল পুরস্কার জয়লাভ করেন ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে। বাঙালি কবি হিসেবে তিনিই প্রথম নোবেল পুরস্কার জয়লাভ করেন। তিনি তার জীবনে একাধিক ছোট গল্প, কাব্যগ্রন্থ, এবং কবিতা রচনা করেছেন, তারমধ্যে ঘট ভরা কবিতা টি অন্যতম। ঘট ভরা কবিতা টি ১৩৪৩ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত হয়।
ঘট ভরা
– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আমার এই ছোটো কলসখানি
সারা সকাল পেতে রাখি
ঝরনাধারার নিচে।
বসে থাকি একটি ধারে
শেওলাঢাকা পিছল কালো পাথরটাতে।
ঘট ভরে যায় বারে বারে–
ফেনিয়ে ওঠে, ছাপিয়ে পড়ে কেবলি।
সবুজ দিয়ে মিনে-করা
শৈলশ্রেণীর নীল আকাশে
ঝর্ঝরানির শব্দ ওঠে দিনে রাতে।
ভোরের ঘুমে ডাক শোনে তার
গাঁয়ের মেয়েরা।
জলের শব্দ যায় পেরিয়ে
বেগনি রঙের বনের সীমানা,
পাহাড়তলির রাস্তা ছেড়ে
যেখানে ঐ হাটের মানুষ
ধীরে ধীরে উঠছে চড়াইপথে,
বলদ দুটোর পিঠে বোঝাই
শুকনো কাঠের আঁটি;
রুনুঝুনু ঘণ্টা গলায় বাঁধা।
ঝর্ঝরানি আকাশ ছাপিয়ে
ভাবনা আমার ভাসিয়ে নিয়ে কোথায় চলে
পথহারানো দূর বিদেশে।
রাঙা ছিল সকালবেলার প্রথম রোদের রং
উঠল সাদা হয়ে।
বক উড়ে যায় পাহাড় পেরিয়ে।
বেলা হল ডাক পড়েছে ঘরে।
ওরা আমায় রাগ ক’রে কয়
“দেরি করলি কেন?”
চুপ করে সব শুনি;
ঘট ভরতে হয় না দেরি সবাই জানে,
উপচে-পড়া জলের কথা
বুঝবে না তো কেউ।
আমাদের শেষ কথা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঘট ভরা কবিতা টি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এই নিবন্ধটি আপনার ভালো লেগে থাকলে আপনার প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করুন এবং এরকম সুন্দর সুন্দর আরও পোস্ট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ fb.com/banglaprotibedon ফলো করুন।