হুঁকোমুখো হ্যাংলা কবিতা টির লেখক সুকুমার রায়। তিনি একজন বাঙালি শিশু সাহিত্যিক কবি। ১৮৮৭ সালের ৩০ শে অক্টোবর কলকাতার এক ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন সুকুমার রায়। সুকুমার রায়ের পিতা হলেন শিশু সাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী এবং মাতা বিধুমুখী দেবী।
সুকুমার রায় কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে রসায়ন ও পদার্থবিদ্যায় বিএসসি করেন ১৯০৬ সালে। এরপর তিনি উচ্চ শিক্ষার জন্য ১৯১১ সালে বিলেতে যান। বিলেতে থাকাকালীন তিনি ছোটদের একটি মাসিক পত্রিকা “সন্দেশ” প্রকাশনা করেন এবং তিনি সন্দেশের সম্পাদক থাকাকালীন তার লেখা ছড়া গল্প ও প্রবন্ধ বাংলা শিশু সাহিত্যে জমা হয়ে আছে। তার প্রথম একমাত্র ননসেন্স ছড়ার বই হল “আবোল তাবোল”। আরে আবোল তাবোল বইয়ের এক অন্যতম কবিতা হলো হুঁকোমুখো হ্যাংলা ।
হুঁকোমুখো হ্যাংলা
– সুকুমার রায়
হুঁকোমুখো হ্যাংলা বাড়ি তার বাংলা
মুখে তার হাসি নাই দেখেছ?
নাই তার মানে কি? কেউ তাহা জানে কি?
কেউ কভু তার কাছে থেকেছ?
শ্যামাদাস মামা তার আফিঙের থানাদার,
আর তার কেহ নাই এ-ছাড়া –
তাই বুঝি একা সে মুখখানা ফ্যাকাশে,
ব’সে আছে কাঁদ’-কাঁদ’ বেচারা?
থপ্ থপ্ পায়ে সে নাচত যে আয়েসে,
গালভরা ছিল তার ফুর্তি,
গাইতো সে সারা দিন ‘সারে গামা টিমটিম্’
আহ্লাদে গদ-গদ মূর্তি।
এই তো সে দুপ’রে বসে ওই উপরে,
খাচ্ছিল কাঁচকলা চটকে –
এর মাঝে হল কি? মামা তার মোলো কি?
অথবা কি ঠ্যাং গেল মটকে?
হুঁকোমুখো হেঁকে কয়, ‘আরে দূর, তা তো নয়,
দেখছ না কিরকম চিন্তা?
মাছি মারা ফন্দি এ যত ভাবি মন দিয়ে –
ভেবে ভেবে কেটে যায় দিনটা।
বসে যদি ডাইনে, লেখে মোর আইনে –
এই ল্যাজে মাছি মারি ত্রস্ত;
বামে যদি বসে তাও, নহি আমি পিছপাও,
এই ল্যাজে আছে তার অস্ত্র।
যদি দেখি কোনো পাজি বসে ঠিক মাঝামাঝি
কি যে করি ভেবে নাহি পাই রে –
ভেবে দ্যাখ একি দায় কোন্ ল্যাজে মারি তায়
দুটি বৈ ল্যাজ মোর নাই রে।’
আমাদের শেষ কথা
সুকুমার রাইয়ের হুঁকোমুখো হ্যাংলা কবিতা টি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এই নিবন্ধটি আপনার ভালো লেগে থাকলে আপনার প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করুন এবং এরকম সুন্দর সুন্দর আরও পোস্ট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ fb.com/banglaprotibedon ফলো করুন।