কাজলা দিদি কবিতা – কাজলা দিদি কবিতাটি লিখেছেন কবি যতীন্দ্রমোহন বাগচী। যতীন্দ্রমোহন বাগচীর রচিত কাজলা দিদি কবিতাটি “কাব্যমালঞ্চ” কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত। “কাব্যমালঞ্চ” কাব্যগ্রন্থের এক অন্যতম জনপ্রিয় কবিতা হল “কাজলা দিদি” কবিতা। যতীন্দ্রমোহন বাগচীর লেখা “কাব্যমালঞ্চ” কাব্যগ্রন্থটি ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়।
কাজলা দিদি কবিতার সারমর্ম – কাজলা দিদি কবিতায় তিনজন ব্যক্তির সম্পর্কে একটি ভালোবাসার অন্তর্নিহিত ছবি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এই কবিতার চরিত্রে দেখা গিয়েছে মৃত কাজলা দিদি এবং তার অবুজ ছোট্ট বোন, যে তার দিদিকে খুঁজে চলেছে। এছাড়াও দেখা গিয়েছে একজন সন্তানহারা মা, যার বুকে রয়েছে সন্তান হারানোর বেদনা এবং চাপা কান্না।
কবিতায়, ছোট্ট বোনটি জানে না যে, তার কাজলা দিদি চিরদিনের জন্য তাদেরকে ছেড়ে চলে গেছে। তাই সে প্রতি মুহুর্ত তার মায়ের কাছে জানতে চাই যে তার দিদি কোথায় গেছে এবং কেন আসতে এত দেরি হচ্ছে। কাজলা দিদি তাদের ছেড়ে চিরদিনের জন্য চলে গেছে, অর্থাৎ কাজলা দিদি মারা গিয়েছে। সে কথাটি জানতে পারলে ছোট্ট বোনটি আরও কষ্ট পাবে। তাই তার মা কোন উত্তর দিতে না পেরে মুখ লুকিয়ে চাপা স্বরে বসে বসে কাঁদেন।
– যতীন্দ্রমোহন বাগচী
বাঁশ-বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই,
মাগো আমার শোলক্-বলা কাজলা দিদি কই?
পুকুর ধারে লেবুর তলে,
থোকায় থোকায় জোনাক জ্বলে,
ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না, একলা জেগে রই,
মাগো আমার কোলের কাছে কাজলা দিদি কই?
সেদিন হতে কেন মা আর দিদিরে না ডাকো;
দিদির কথায় আঁচল দিয়ে মুখটি কেন ঢাকো?
খাবার খেতে আসি যখন
দিদি বলে ডাকি তখন,
ও-ঘর থেকে কেন মা আর দিদি আসে নাকো?
আমি ডাকি, তুমি কেন চুপটি করে থাকো?
বল্ মা দিদি কোথায় গেছে, আসবে আবার কবে?
কাল যে আমার নতুন ঘরে পুতুল বিয়ে হবে!
দিদির মত ফাঁকি দিয়ে
আমিও যদি লুকাই গিয়ে
তুমি তখন একলা ঘরে কেমন ক’রে রবে?
আমিও নাই—দিদিও নাই—কেমন মজা হবে!
ভূঁই-চাঁপাতে ভরে গেছে শিউলী গাছের তল,
মাড়াস্ নে মা পুকুর থেকে আনবি যখন জল |
ডালিম গাছের ফাঁকে ফাঁকে
বুলবুলিটা লুকিয়ে থাকে,
উড়িয়ে তুমি দিও না মা ছিঁড়তে গিয়ে ফল,
দিদি যখন শুনবে এসে বলবি কি মা বল্ |
বাঁশ-বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই,
এমন সময় মাগো আমার কাজলা দিদি কই?
লেবুর তলে পুকুর পাড়ে
ঝিঁঝিঁ ডাকে ঝোপে ঝাড়ে,
ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না, তাইতো জেগে রই,—
রাত্রি হোল মাগো, আমার কাজলা দিদি কই?
কাজলা দিদি কবিতাটি লিখেছেন কবি যতীন্দ্রমোহন বাগচী।
যতীন্দ্রমোহন বাগচীর রচিত কাজলাদিদি কবিতাটি “কাব্যমালঞ্চ” কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।
কাজলা দিদি মারা গিয়েছিল।
বাঁশ বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে।
পুকুর ধারে জোনাকি জলে।
ছোট বোনটির দিদির জন্য অপেক্ষায় থাকত।
ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না।
শ্লোক শব্দের অর্থ হলো ছড়া।
মোঃ হেদায়েতুল ইসলামের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উক্তি ও বাণী - আজ আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরব…
প্রভু জগদ্বন্ধু সুন্দরের ১০৮ নাম - জগদ্বন্ধু সুন্দর ১৮৭১ সালের ২৮শে এপ্রিল ব্রিটিশ ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলায়…
হ্যাপি হোলির শুভেচ্ছা বার্তা ও স্ট্যাটাস বা দোলযাত্রার শুভেচ্ছা বার্তা - বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ।…
মার্ক টোয়েনের উক্তি ও বাণী - মার্ক টোয়েন ছিলেন একজন মার্কিন রম্য লেখক, সাহিত্যিক ও প্রভাষক।…
কাজী নজরুল ইসলামের উক্তি ও বাণী - কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন একজন বিংশ শতাব্দীর প্রধান…
সক্রেটিসের উক্তি ও বাণী সমুহ - সক্রেটিস ছিলেন একজন প্রাচীন গ্রিক দার্শনিক। সক্রেটিসের তেমন কোন…