বঙ্গবন্ধুর বিখ্যাত উক্তি, শেখ মুজিবুর রহমানের উক্তি, বঙ্গবন্ধুর উক্তি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উক্তি, বঙ্গবন্ধু কে নিয়ে উক্তি
বঙ্গবন্ধুর বিখ্যাত উক্তি ও শেখ মুজিবুর রহমানের উক্তি

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

বঙ্গবন্ধুর বিখ্যাত উক্তি ও শেখ মুজিবুর রহমানের উক্তি – বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলেন বাংলাদেশের এক অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক নেতা এবং বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব। এছাড়াও বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান এবং পরবর্তীতে তিনি বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধার পেছনে শেখ মুজিবুর রহমানের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হিসেবে কৃতিত্বের স্বীকৃতি স্বরূপ তাকে বাংলাদেশের “জাতির জনক” বা “জাতির পিতা” হিসেবে অভিহিত করা হয়। এছাড়াও তাকে প্রাচীন বাঙালি সভ্যতার আধুনিক এর স্থপতি ও সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত হন তিনি এবং “শেখ মুজিব” বা “শেখ সাহেব” নামে এবং তার উপাধি “বঙ্গবন্ধু” হিসেবেই তিনি অধিক পরিচিত জনসাধারণের কাছে। বঙ্গবন্ধু তার সংগ্রামী রাজনৈতিক জীবনে মূল্যবান কিছু উক্তি আমাদেরকে দিয়ে গিয়েছেন। তাই আজ আমরা বঙ্গবন্ধুর বিখ্যাত উক্তি গুলি আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি। আসুন এক নজরে দেখে নিন বঙ্গবন্ধুর বিখ্যাত উক্তি গুলি –

বঙ্গবন্ধুর বিখ্যাত উক্তি

“পবিত্র ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা চলবে না।”

বঙ্গবন্ধুর বিখ্যাত উক্তি, শেখ মুজিবুর রহমানের উক্তি, বঙ্গবন্ধুর উক্তি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উক্তি, বঙ্গবন্ধু কে নিয়ে উক্তি
বঙ্গবন্ধুর বিখ্যাত উক্তি ও শেখ মুজিবুর রহমানের উক্তি

“অযোগ্য নেতৃত্ব, নীতিহীন নেতা ও কাপুরুষ রাজনীতিবিদদের সাথে কোনোদিন একসাথে হয়ে দেশের কাজে নামতে নেই। তাতে দেশসেবার চেয়ে দেশের ও জনগণের সর্বনাশই বেশি হয়।”

“রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের চারটি জিনিসের প্রয়োজন, তা হচ্ছে: নেতৃত্ব, ম্যানিফেস্টো বা আদর্শ, নিঃস্বার্থ কর্মী এবং সংগঠন।” – শেখ মুজিবুর রহমানের উক্তি

“ওরা আমারই সন্তান। আমাকে কেন হত্যা করবে?”

“আমি সব ত্যাগ করতে পারি, তোমাদের ভালোবাসা আমি ত্যাগ করতে পারিনা।”

“এখন যদি কেউ বাংলাদেশের স্বাধীনতা হরণ করতে চায়, তাহলে সে স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্যে মুজিব সর্ব প্রথম তার প্রাণ দেবে।” – বঙ্গবন্ধুর বিখ্যাত উক্তি

“সরকারী কর্মচারীদের জনগণের সাথে মিশে যেতে হবে। তাঁরা জনগণের খাদেম, সেবক, ভাই। তাঁরা জনগণের বাপ, জনগণের ভাই, জনগণের সন্তান। তাঁদের এই মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে।”

“আমাদেরকে সোনার দেশের সোনার মানুষ হতে হবে।”

“ইহাই হয়তো আমার শেষ বার্তা,আজ হইতে বাংলাদেশ স্বাধীন।আমি বাংলাদেশের জনগনকে আহবান জানাইতেছি যে,যে যেখানে আছো,যাহার যা কিছু আছে,তাই নিয়ে রুখে দাড়াও,সর্বশক্তি দিয়ে হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করো।পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর শেষ সৈন্যটিকে বাংলার মাটি হইতে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও।”

১০

“আমার দেশ স্বাধীন দেশ। ভারত হোক, আমেরিকা হোক, রাশিয়া হোক, গ্রেট ব্রিটেন হোক কারো এমন শক্তি নাই যে, আমি যতক্ষণ বেঁচে আছি ততক্ষণ আমার দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে পারে।”

১১

“আওয়ামিলীগ ক্ষমতা আটকে রাখার জন্য রাজনীতি করে না। ক্ষমতায় যাওয়ার ইচ্ছা থাকলে আইন করে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকতে পারত।” – বঙ্গবন্ধুর উক্তি

১২

“আমরা গণতন্ত্র চাই, কিন্তু উসৃঙ্খলা চাই না, কারও বিরুদ্ধে ঘৃণা সৃষ্টি করতেও চাই না।অথচ কোনো কাগজে লেখা হয়েছে মুসলমানকে রক্ষা করার জন্য সংঘবদ্ধ হও। যে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে আমার দেশের মানুষ রক্ত দিয়েছে, এখানে বসে কেউ যদি তার বীজ বপন করতে চায় তাহলে তা কি আপনারা সহ্য করবেন?”

১৩

“সাম্প্রদায়িকতা যেন মাথাচারা দিয়ে উঠতে না পারে। ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র বাংলাদেশ। মুসলমান তার ধর্মকর্ম করবে। হিন্দু তার ধর্মকর্ম করবে। বৌদ্ধ তার ধর্মকর্ম করবে। কেউ কাউকে বাধা দিতে পারবে না।”

১৪

“দেশের সাধারণ মানুষ, যারা আজও দুঃখী, যারা আজও নিরন্তর সংগ্রাম করে বেঁচে আছে, তাদের হাসি-কান্না, সুখ-দুঃখকে শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির উপজীব্য করার জন্য শিল্পী, সাহিত্যিক ও সংস্কৃতিসেবীদের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।”

১৫

“যিনি যেখানে রয়েছেন, তিনি সেখানে আপন কর্তব্য পালন করলে দেশের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে না।”

১৬

“এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম!”

বঙ্গবন্ধুর বিখ্যাত উক্তি, শেখ মুজিবুর রহমানের উক্তি, বঙ্গবন্ধুর উক্তি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উক্তি, বঙ্গবন্ধু কে নিয়ে উক্তি
বঙ্গবন্ধুর বিখ্যাত উক্তি ও শেখ মুজিবুর রহমানের উক্তি

১৭

“বিশ্ব দুই শিবিরে বিভক্ত – শোষক আর শোষিত। আমি শোষিতের পক্ষে।” – বঙ্গবন্ধুর উক্তি

১৮

“সমস্ত সরকারী কর্মচারীকেই আমি অনুরোধ করি, যাদের অর্থে আমাদের সংসার চলে তাদের সেবা করুন।”

১৯

“গণআন্দোলন ছাড়া, গণবিপ্লব ছাড়া বিপ্লব হয় না।”

বঙ্গবন্ধুর বিখ্যাত উক্তি, শেখ মুজিবুর রহমানের উক্তি, বঙ্গবন্ধুর উক্তি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উক্তি, বঙ্গবন্ধু কে নিয়ে উক্তি
বঙ্গবন্ধুর বিখ্যাত উক্তি ও শেখ মুজিবুর রহমানের উক্তি

২০

“আমরা যখন মরতে শিখেছি, তখন কেউ আমাদের দাবাতে পারবে না।” – বঙ্গবন্ধুর উক্তি


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উক্তি

২১

“ভুলে যেয়ো না। স্বাধীনতা পেয়েছো এক রকম শত্রুর সাথে লড়াই করে। তখন আমরা জানতাম আমাদের এক নম্বর শত্রু পাকিস্থানের সামরিক বাহিনী ও শোষকগোষ্ঠী। কিন্তু, এখন শত্রুকে চেনাই কষ্টকর।”

২২

“আন্দোলন মুখ দিয়ে বললেই করা যায় না। আন্দোলনের জন্য জনমত সৃষ্টি করতে হয়। আন্দোলনের জন্য আদর্শ থাকতে হয়। আন্দোলনের জন্য নিঃস্বার্থ কর্মী হতে হয়। ত্যাগী মানুষ থাকা দরকার। আর সর্বোপরি জনগণের সংঘবদ্ধ ও ঐক্যবদ্ধ সমর্থন থাকা দরকার।”

২৩

“আমার সবচেয়ে বড় শক্তি আমার দেশের মানুষকে ভালোবাসি, সবচেয়ে বড় দুর্বলতা আমি তাদেরকে খুব বেশি ভালোবাসি।”

২৪

“বাংলার মাটিতে যুদ্ধাপরাধীর বিচার হবেই।”

২৫

“দেশ থেকে সর্বপ্রকার অন্যায়, অবিচার ও শোষণ উচ্ছেদ করার জন্য দরকার হলে আমি আমার জীবন উৎসর্গ করে দিব।”

২৬

“মানুষ মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত ,কেউ তাকে মারতে পারেনা।”

২৭

“বাংলার মাটি দু্র্জয় ঘাঁটি জেনে নিক দুর্বৃত্তেরা।”

২৮

“ভিক্ষুক জাতির ইজ্জত থাকে না। বিদেশ থেকে ভিক্ষা করে এনে দেশকে গড়া যাবে না। দেশের মধ্যেই পয়সা করতে হবে।”

২৯

“কোনো জেল জুলুমই কোনোদিন আমাকে টলাতে পারেনি, কিন্তু মানুষের ভালবাসা আমাকে বিব্রত করে তুলেছে।”

৩০

“এদেশে কৃষক-শ্রমিক, হিন্দু-মুসলমান সবাই সুখে থাকবে, শান্তিতে থাকবে (১০ জানুয়ারি ১৯৭২)।” 

৩১

“এটাই হয়ত আমার শেষ বার্তা, আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের মানুষকে আহ্বান জানাই, আপনারা যেখানেই থাকুন, আপনাদের সর্বস্ব দিয়ে দখলদার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত প্রতিরোধ চালিয়ে যান। বাংলাদেশের মাটি থেকে সর্বশেষ পাকিস্তানি সৈন্যটিকে উত্খাত করা এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের আগ পর্যন্ত আপনাদের যুদ্ধ অব্যাহত থাকুক।” – বঙ্গবন্ধুর উক্তি

৩২

“খবরের কাগজে পড়বার মতো কিছূ থাকে না। একঘেয়ে সংবাদ। প্রেসিডেন্ট আইয়ুব কী বললেন, কী করলেন, কোথায় গেলেন, কার সাথে দেখা করলেন, দেশের উন্নতি, অগ্রগতি, গুদাম ভরা খাদ্য, অভাব নাই, বিরাট বিরাট প্রজেক্ট গ্রহন করা হয়েছে, কাজ শুরু হয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি। কেহ কেহ মুরব্বিয়ানাচালে দেশপ্রেমিকের সার্টীফিকেটও দিয়ে থাকেন। দুনিয়ায় নাকি পাকিস্তানের সম্মান এতো বেড়ে গেছে যে আসমান প্রায় ধরে ফেলেছে। নানা বেহুদা প্রশংসা।”

৩৩

“মানুষকে ভালোবাসলে মানুষও ভালোবাসে। যদি সামান্য ত্যাগ স্বীকার করেন, তবে জনসাধারণ আপনার জন্য জীবন দিতেও পারে।”

৩৪

“যদি কেউ ন্যায্য কথা বলে, আমরা সংখ্যায় বেশী হলেও, সে একজনও যদি হয়, তার ন্যায্য কথা আমরা মেনে নেবো।” – বঙ্গবন্ধুর উক্তি

৩৫

“আমি আমার জন্মদিনের উৎসব পালন করি না। এই দু:খিনী বাংলায় আমার জন্মদিনই-বা কি আর মৃত্যুদিনই-বা কি?”

৩৬

“আমাদের চাষীরা হল সবচেয়ে দু:খী ও নির্যাতিত এবং তাদের অবস্হার উন্নতির জন্যে আমাদের উদ্যোগের বিরাট অংশ অবশ্যই তাদের পেছনে নিয়োজিত করতে হবে।”

৩৭

“যার মনের মধ্যে আছে সাম্প্রদায়িকতা সে হলো বন্য জীবের সমতূল্য।” – বঙ্গবন্ধুর বিখ্যাত উক্তি

৩৮

“পবিত্র ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা চলবে না। যদি কেউ বলে যে, ধর্মীয় অধিকার খর্ব করা হয়েছে, আমি বলব ধর্মীয় অধিকার খর্ব করা হয়নি। সাড়ে সাত কোটি মানুষের ধর্মীয় অধিকার রক্ষা করার ব্যবস্হা করেছি। কেউ যদি বলে গণতান্ত্রিক মৌলিক অধিকার নাই, আমি বলব সাড়ে সাত কোটি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে যদি গুটিকয়েক লোকের অধিকার হরণ করতে হয়, তা করতেই হবে।”

৩৯

“ব্ল্যাকমার্কেটিং কারা করে? যাদের পেটের মধ্যে দুই কলম বিদ্যা রয়েছে তারাই ব্ল্যাকমার্কেটিং করে। স্মাগলিং কারা করে? যারা বেশি লেখাপড়া করেছে তারাই করে। হাইজাকিং কারা করে? যারা বেশি লেখাপড়া শিখছে তারাই করে। ইন্টারন্যাশনাল স্মাগলিং তারাই করে। বিদেশে টাকা রাখে তারাই। আমরা যারা শিক্ষিত, আমরা যারা বুদ্বিমান, ওষুধের মধ্যে ভেজাল দিয়ে বিষাক্ত করে মানুষকে খাওয়াই তারাই। নিশ্চয়ই গ্রামের লোক এসব পারে না?”

৪০

“ধর্মপ্রাণ বাঙ্গালী মুসলমানরা তাদের ধর্মকে ভালোবাসে; কিন্তু ধর্মের নামে ধোঁকা দিয়ে রাজনৈতিক কার্যসিদ্ধি করতে তারা দিবে না এ ধারণা অনেকেরই হয়েছিল। জনসাধারণ চায় শোষণহীন সমাজ এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নতি।” – বঙ্গবন্ধুর বিখ্যাত উক্তি


বঙ্গবন্ধুর কিছু স্মরণীয় উক্তি

৪১

“জনগণকে ছাড়া, জনগণকে সংঘবদ্ধ না করে, জনগণকে আন্দোলনমুখী না করে এবং পরিস্কার আদর্শ সামনে না রেখে কোনোরকম গণ আন্দোলন হতে পারেনা।”

৪২

“আওয়ামিলীগ ও তার কর্মীরা যে কোনো ধরণের সাম্প্রদায়িকতাকে ঘৃণা করে। আওয়ামিলীগের মধ্যে অনেক নেতা ও কর্মী আছে যারা সমাজতন্ত্রে বিশ্বাস করে; এবং তারা জানে সমাজতন্ত্রের পথই একমাত্র জনগণের মুক্তির পথ। ধনতন্ত্রবাদের মাধ্যমে জনগণকে শোষণ করা চলে। যারা সমাজতন্ত্রে বিশ্বাস করে, তারা কোনদিন কোনো রকমের সাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাস করতে পারে না। তাদের কাছে মুসলমান, হিন্দু, বাঙ্গালী, অবাঙ্গালী সকলেই সমান।” – শেখ মুজিবুর রহমানের উক্তি

৪৩

“যখন তুমি কোন ভদ্রলোকের সাথে খেলবে তখন তোমাকে ভদ্রলোক হতে হবে, যখন তুমি কোন বেজন্মার সাথে খেলবে তখন অবশ্যই তোমাকে তার চাইতে বড় বেজন্মা হতে হবে। নচেত পরাজয় নিশ্চিত।”

৪৪

“বঙ্গবন্ধু একবার একান্ত আলাপচারিতায় যুবলীগের কয়েকজন কর্মীকে বলেছিলেন, আমি মারা গেলে আমার কবরে একটা টিনের চোঙ্গা রেখে দিস। লোকে জানবে এই একটা লোক একটা টিনের চোঙ্গা হাতে নিয়ে রাজনীতিতে এসেছিল এবং সারাজীবন সেই টিনের চোঙ্গায় বাঙ্গালি বাঙ্গালি বলে চিৎকার করতে করতেই মারা গেল।”

৪৫

“এ প্রধানমন্ত্রীত্ব আমার কাছে কাঁটা বলে মনে হয়। আমি যদি বাংলার মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে না পারি, আমি যদি দেখি বাংলার মানুষ দু:খী, আর যদি দেখি বাংলার মানুষ পেট ভরে খায় নাই, তাহলে আমি শান্তিতে মরতে পারবো না।”

৪৬

“সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা ছাড়া রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্থহীন। তাই মাটি ও মানুষকে কেন্দ্র করে গণমানুষের সুখ শান্তি ও স্বপ্ন এবং আশা-আকাঙ্খাকে অবলম্বন করে গড়ে উঠবে বাংলার নিজস্ব সাহিত্য-সংস্কৃতি।”

৪৭

“প্রধানমন্ত্রী হবার কোন ইচ্ছা আমার নেই। প্রধানমন্ত্রী আসে এবং যায়। কিন্তু যে ভালোবাসা সম্মান দেশবাসী আমাকে দিয়েছেন তা আমি সারাজীবন মনে রাখবো।” – শেখ মুজিবুর রহমানের উক্তি

৪৮

“যদি আমরা বিভক্ত হয়ে যাই এবং স্বার্থের দ্বন্দ ও মতাদর্শের অনৈক্যের দ্বারা প্রভাবান্বিত হয়ে আত্বঘাতী সংঘাতে মেতে উঠি, তাহলে যারা এদেশের মানুষের ভালো চান না ও এখানাকার সম্পদের ওপর ভাগ বসাতে চান তাদেরই সুবিধা হবে এবং বাংলাদেশের নির্যাতিত, নিপীড়িত, ভাগ্যাহত ও দুঃখী মানুষের মুক্তির দিনটি পিছিয়ে যাবে।”

৪৯

“আমি বিশ্বাস করি, ক্ষমতা বাংলার জনগণের কাছে। জনগণ যেদিন বলবে ‘বঙ্গবন্ধু ছেড়ে দাও’, বঙ্গবন্ধু একদিনও রাষ্ট্রপতি, একদিনও প্রধানমন্ত্রী থাকবে না। বঙ্গবন্ধু ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করে নাই। বঙ্গবন্ধু রাজনীতি করেছে শোষণহীন সমাজ কায়েম করার জন্য। (২৬ মার্চ ১৯৭৫)।”

৫০

“যে মানুষ মৃত্যুর জন্য প্রস্তত, কেউ তাকে মারতে পারে না।”

বঙ্গবন্ধুর বিখ্যাত উক্তি, শেখ মুজিবুর রহমানের উক্তি, বঙ্গবন্ধুর উক্তি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উক্তি, বঙ্গবন্ধু কে নিয়ে উক্তি
বঙ্গবন্ধুর বিখ্যাত উক্তি ও শেখ মুজিবুর রহমানের উক্তি

৫১

“এই স্বাধীন দেশে মানুষ যখন পেট ভরে খেতে পাবে, পাবে মর্যাদাপূর্ণ জীবন; তখনই শুধু এই লাখো শহীদের আত্মা তৃপ্তি পাবে।” – শেখ মুজিবুর রহমানের উক্তি

৫২

“গরীবের উপর অত্যাচার করলে আল্লাহর কাছে তার জবাব দিতে হবে।”

বঙ্গবন্ধুর বিখ্যাত উক্তি, শেখ মুজিবুর রহমানের উক্তি, বঙ্গবন্ধুর উক্তি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উক্তি, বঙ্গবন্ধু কে নিয়ে উক্তি
বঙ্গবন্ধুর বিখ্যাত উক্তি ও শেখ মুজিবুর রহমানের উক্তি

৫৩

“বাংলাদেশ এসেছে বাংলাদেশ থাকবে।”

৫৪

“বাংলার উর্বর মাটিতে যেমন সোনা ফলে, ঠিক তেমনি পরগাছাও জন্মায়! একইভাবে, বাংলাদেশে কতকগুলো রাজনৈতিক পরগাছা রয়েছে, যারা বাংলার মানুষের বর্তমান দুঃখ-দূর্দশার জন্য দায়ী।”

৫৫

“শহীদদের রক্ত যেন বৃথা না যায়।”

৫৬

“বাঙ্গালি জাতীয়তাবাদ না থাকলে আমাদের স্বাধীনতার অস্তিত্ব বিপন্ন হবে।” – শেখ মুজিবুর রহমানের উক্তি

৫৭

“জীবন অত্যন্ত ক্ষণস্থায়ী। এই কথা মনে রাখতে হবে। আমি বা আপনারা সবাই মৃত্যুর পর সামান্য কয়েক গজ কাপড় ছাড়া সাথে আর কিছুই নিয়ে যাব না। তবে কেন আপনারা মানুষকে শোষণ করবেন, মানুষের উপর অত্যাচার করবেন?”

৫৮

“সাত কোটি বাঙ্গালির ভালোবাসার কাঙ্গাল আমি। আমি সব হারাতে পারি, কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা হারাতে পারব না।” – বঙ্গবন্ধুর উক্তি

৫৯

“এ স্বাধীনতা আমার ব্যর্থ হয়ে যাবে যদি আমার বাংলার মানুষ পেট ভরে ভাত না খায়। এই স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না যদি বাংলার মা-বোনেরা কাপড় না পায়। এ স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না যদি এদেশের মানুষ যারা আমার যুবক শ্রেণী আছে তারা চাকরি না পায় বা কাজ না পায়।” – শেখ মুজিবুর রহমানের উক্তি


বঙ্গবন্ধু কে নিয়ে উক্তি

“শেখ মুজিবুর রহমান বিদ্রোহী ছিলেন না, কিন্তু তাকে সেই পথে যেতে বাধ্য করা হয়।”

বঙ্গবন্ধুর বিখ্যাত উক্তি, শেখ মুজিবুর রহমানের উক্তি, বঙ্গবন্ধুর উক্তি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উক্তি, বঙ্গবন্ধু কে নিয়ে উক্তি
বঙ্গবন্ধুর বিখ্যাত উক্তি ও শেখ মুজিবুর রহমানের উক্তি

“সাধারণ অর্থে মানবাধিকার হলো মানুষের অধিকার কিন্তু নির্দিষ্ট অর্থে মানবাধিকার বলতে সেই সকল বিশেষ অধিকার কে বোঝায় মানুষ হওয়ার সুবাদে একজন মানুষ ভোগ করতে পারে।”

“মানবাধিকার সেইসব ন্যূনতম অধিকার যেগুলো মানুষ ও পরিবারের সদস্য প্রতিটি ব্যক্তি রাষ্ট্র বা অন্যান্য সরকারি কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থেকে ভোগ করে।”

“পৃথিবীর যেকোনো অংশে বসবাসকারী প্রতিটি পুরুষ অথবা নারী একজন নাগরিক হিসেবে যে সব মৌলিক অধিকার ভোগ করতে পারে সেগুলোকে মানবাধিকার বলে।”

“১৭৭২ সালে বিশ্বসেরা সংবিধান প্রণয়নের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করেছিলেন। “

“সব মানুষের সমান মর্যাদা ও অধিকার যা হস্তান্তরযোগ্য নয়। পৃথিবীতে শান্তি, সুবিচার ও স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার প্রধান সহায়ক।”


FAQ
বঙ্গবন্ধুকে কেন জাতির জনক উপাধি দেওয়া হয় ?

১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধার পেছনে শেখ মুজিবুর রহমানের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হিসেবে কৃতিত্বের স্বীকৃতি স্বরূপ তাকে বাংলাদেশের “জাতির জনক” বা “জাতির পিতা” হিসেবে অভিহিত করা হয়।

বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন কবে ?

১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে।

বঙ্গবন্ধুকে কবে ‘জাতির জনক’ উপাধি দেওয়া হয় ?

১৯৭১ সালের ৩ রা মার্চ। উপাধি দেন আ স ম আবদুর রব।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক কে ছিলেন ?

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

মুজিব বর্ষের সময়কাল কত ?

১৭ মার্চ ২০২০—১৭ মার্চ ২০২১।

‘মুজিব বর্ষ’ ঘোষণা করেন কে ?

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মুজিব শব্দের অর্থ কী ?

উত্তরদাতা।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মগ্রহণ করেন কবে ?

১৭ মার্চ ১৯২০।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কোথায় জন্মগ্রহণ করেন ?

ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে।

বঙ্গবন্ধুর পিতার নাম কী ?

শেখ লুৎফর রহমান।

বঙ্গবন্ধুর মাতার নাম কী ?

সায়েরা খাতুন।

বঙ্গবন্ধুর স্ত্রীর নাম কী ?

বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব (ডাকনাম রেণু)।

ঙ্গবন্ধু কবে প্রথম কারাবরণ করেন ?

১৯৩৮ সালে (সাত দিন)।

বঙ্গবন্ধু কবে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন ?

১৯৩৯ সালে গোপালগঞ্জ মিশনারি স্কুলে পড়ার সময়।

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের মধ্যে কতজনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে ?

৬ জনের।


 আমাদের শেষ কথা 

বঙ্গবন্ধুর বিখ্যাত উক্তি ও শেখ মুজিবুর রহমানের উক্তি গুলি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।  উক্তি গুলি আপনার ভালো লেগে থাকলে আপনার প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করুন এবং এরকম সুন্দর সুন্দর আরও পোস্ট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ fb.com/banglaprotibedon ফলো করুন।