রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেমের কবিতা ও উক্তি – কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন একজন অগ্রণী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিক। তিনি তার জীবনে একাধিক কবিতা ও ছোট গল্প রচনা করে গিয়েছেন। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ট সাহিত্যিক হিসেবেও মনে করা হয়।
তবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর জীবনে যেসব কবিতা লিখে গিয়েছেন তা স্থান পেয়েছে নানান বিষয়ে, নানান স্থানে। শুধু সামাজিক কবিতায় নয়, মানব জীবনে প্রেম থেকে শুরু করে, প্রকৃতিপ্রেমী, ঈশ্বর প্রেমী, আধ্যাত্বিক প্রেমী সবকিছু নিয়েই কবি একাধিক কবিতা রচনা করে গিয়েছেন। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর জীবনে প্রেম ভালোবাসা নিয়ে একাধিক কবিতা ও উক্তি লিখে গিয়েছেন। যার কারণে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে প্রেমের কবিও বলা হয়। আজ আমরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেমের কবিতা আপনাদের সামনে তুলে ধরছি। তাহলে আর দেরি কিসের আসুন এক নজরে দেখে নিন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেমের কবিতা ও উক্তি গুলি –
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেমের কবিতা ও উক্তি
“প্রেমের আনন্দ থাকে স্বল্পক্ষণ কিন্তু বেদনা থাকে সারাটি জীবন।”
“মন দিয়ে মন বোঝা যায়, গভীর বিশ্বাস শুধু নীরব প্রাণের কথা টেনে নিয়ে আসে।”
“বিয়ে করলে মানুষকে মেনে নিতে হয়, তখন আর গড়ে নেবার ফাঁক পাওয়া যায় না।”
“নারী দাসী বটে, কিন্তু সেই সঙ্গে নারী রাণীও বটে।”
“যৌবনই ভোগের কাল বার্ধক্য স্মৃতিচারণের।”
“কি পাইনি তারই হিসাব মেলাতে মন মোর নহে রাজি।”
“আমরা কথার অধীন, প্রধার অধীন অসংখ্য প্রবৃত্তির অধীন।”
“সত্য যে কঠিন, কঠিনেরে ভালোবাসিলাম, সে কখনো করে না বঞ্চনা।”
“বিবেচনা করবার বয়স ভালোবাসার বয়সের উলটো পিঠে।”
“জ্ঞান পেলে নিজেকে জ্ঞানী বলে গর্ব হয় কিন্তু প্রেম পেলে নিজেকে অধম বলে জেনেও আনন্দ হয়।”
“এরা সুখের লাগি চাহে প্রেম, প্রেম মেলে না, শুধু সুখ চলে যায়।”
“ভালোবাসার ট্রাজেডি ঘটে সেইখানেই যেখানে পরস্পরকে স্বতন্ত্র জেনে মানুষ সন্তুষ্ট থাকতে পারে নি, নিজের ইচ্ছেকে অন্যের ইচ্ছে করবার জন্যে যেখানে জুলুম, যেখানে মনে করি আপন মনের মতো করে বদলিয়ে অন্যকে সৃষ্টি করব।”
“আনন্দকে ভাগ করলে দুটি জিনিস পাওয়া যায়; একটি হচ্ছে জ্ঞান এবং অপরটি হচ্ছে প্রেম।”
“ক্ষুদ্রকে লইয়াই বৃহৎ, সীমাকে লইয়াই অসীম, প্রেমকে লইয়াই মুক্তি। প্রেমের আলো যখনই পাই তখনই যেখানে চোখ মেলি সেখানেই দেখি, সীমার মধ্যে সীমা নাই।”
“মনে যখন একটা প্রবল আনন্দ একটা বৃহৎ প্রেমের সঞ্চার হয় তখন মানুষ মনে করে, ‘আমি সব পারি’। তখন হঠাৎ আত্মবিসর্জনের ইচ্ছা বলবতী হইয়া ওঠে।”
“প্রেমের মধ্যে ভয় না থাকলে রস নিবিড় হয় না।”
“নারীর প্রেম পুরুষকে পূর্ণশক্তিতে জাগ্রত করতে পারে; কিন্তু সে প্রেম যদি শুক্লপক্ষের না হয়ে কৃষ্ণপক্ষের হয় তবে তার মালিন্যের আর তুলনা নেই।”
“পৃথিবীতে বালিকার প্রথম প্রেমেরমত সর্বগ্রাসী প্রেম আর কিছুই নাই। প্রথম যৌবনে বালিকা যাকে ভালোবাসে তাহার মত সৌভাগ্যবানও আর কেহই নাই। যদিও সে প্রেম অধিকাংশ সময় অপ্রকাশিত থেকে যায়, কিন্তু সে প্রেমের আগুন সব বালিকাকে সারাজীবন পোড়ায়।”
read more: গভীর প্রেমের কবিতা ও ছন্দ | Bangla Premer Kobita
“আত্মপর ধনিদরিদ্র পণ্ডিতমূর্খ এই জগতে একই প্রেমের দ্বারা বিধৃত হইয়া আছে, ইহাই পরম সত্য—এই সত্যেরই প্রকৃত উপলব্ধি পরমানন্দ। উৎসবদিনের অবারিত মিলন এই উপলব্ধিরই অবসর। যে ব্যক্তি এই উপলব্ধি হইতে একেবারেই বঞ্চিত হইল, সে ব্যক্তি উন্মুক্ত উৎসবসম্পদের মাঝখানে আসিয়াও দীনভাবে রিক্তহস্তে ফিরিয়া চলিয়া গেল।”
“যৌবনের শেষে শুভ্র শৎরকালের ন্যায় একটি গভীর প্রশান্ত প্রগাঢ় সুন্দর বয়স আসে যখন জীবনের শেষে ফল ফলিবার এবং শস্য পাকিবার সময়।”
“প্রত্যেক মানুষেই আছে একজন আমি, সেই অপরিময় রহস্যের অসীম মূল্য জোগায় ভালোবাসায়। অহংকারের মেকি পয়সা তুচ্ছ হয়ে যায় এর কাছে। … সাধারণকেই অসাধারণ করে আবিষ্কার করে ভালোবাসা। শাস্ত্রে বলে, আপনাকে জানো। আনন্দে আপনাকেই জানি আর-একজন যখন প্রেমে জেনেছে আমার আপনকে।”
“স্বামীরা প্রেমিক হতে অবশ্যই রাজি, তবে সেটা নিজের স্ত্রীর সাথে নয়। নিজের স্ত্রীর প্রেমিক হবার বিষয়টা কেন যেন তারা ভাবতেই চায় না।”
“স্বামীরা প্রেমিক হতে অবশ্যই রাজি, তবে সেটা নিজের স্ত্রীর সাথে নয়। নিজের স্ত্রীর প্রেমিক হবার বিষয়টা কেন যেন তারা ভাবতেই চায় না।”
“ভালোবাসার থার্মোমিটারে তিন মাত্রার উত্তাপ আছে। মানুষ যখন বলে ‘ভালোবাসি নে’ সেটা হল ৯৫ ডিগ্রি, যাকে বলে সাবনর্মাল। যখন বলে ‘ভালোবাসি’ সেটা হল নাইন্টিএইট পয়েন্ট ফোর, ডাক্তাররা তাকে বলে নর্মাল, তাতে একেবারে কোনো বিপদ নেই। কিন্তু প্রেম জ্বর যখন ১০৫ ছাড়িয়ে গেছে তখন রুগি আদর করে বলতে শুরু করেছে ‘পোড়ারমুখি’, তখন চন্দ্রবদনীটা একেবারে সাফ ছেড়ে দিয়েছে। যারা প্রবীণ ডাক্তার তারা বলে এইটেই হল মরণের লক্ষণ।”
“প্রেমের দুই বিরুদ্ধ পার আছে। এক পারে চোরাবালি, আর-এক পারে ফসলের খেত। এক পারে ভালোলাগার দৌরাত্ম, অন্য পারে ভালোবাসার আমন্ত্রণ।”
“সত্যকার আদর্শ লোক সংসারে পাওয়া দুঃসাধ্য। ভালবাসার একটি মহান্ গুণ এই যে, সে প্রত্যেককে নিদেন এক জনের নিকটেও আদর্শ করিয়া তুলে।”
“সোহাগের সঙ্গে রাগ না মিশিলে ভালবাসার স্বাদ থাকে না – তরকারীতে লঙ্কামরিচের মত।”
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেমের কবিতা Video
আমাদের শেষ কথা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা গুলি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এই কবিতাগুলি আপনার প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করুন এবং তাদের কেউ পড়ার সুযোগ করে দিন। এছাড়াও আপনার যদি কোন মতামত আমাদেরকে জানানোর থাকে তাহলে Contact-Us পেজে গিয়ে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।