ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন এর বাণী ও উক্তি – প্রতি বছর ৫ ই সেপ্টেম্বর ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন এর জন্মদিন উপলক্ষে শিক্ষক দিবস পালন করা হয়ে থাকে। ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন হলেন স্বাধীন ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি এবং দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি। একধারে তিনি ছিলেন রাজনীতিবিদ, দার্শনিক ও অধ্যাপক। ছাত্র জীবনে তিনি অতি মেধাবী ছাত্র ছিলেন। বিশ্বের দরবারেও তিনি অতি জনপ্রিয় ও দার্শনিক অধ্যাপক হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। এছাড়াও তিনি ১৯৫৪ সালে ভারতরত্ন উপাধি পান।
ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন ভারতের রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন তার গুণ মুগ্ধ ছাত্র ও বন্ধুরা তার জন্মদিন পালন করতে চাইলে তিনি বলেন, “আমার জন্মদিনের পরিবর্তে ৫ই সেপ্টেম্বর যদি শিক্ষক দিবস উদযাপিত হয়, তাহলে আমি বিশ্বরূপে অনুগ্রহ লাভ করব।” তারপর থেকেই ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ এর ইচ্ছামতই তার জন্মদিন উপলক্ষে সমগ্র ভারত জুড়ে শিক্ষক দিবস উদযাপন করা হয়।
আদর্শ শিক্ষক ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণাণ তিনি তার জীবনে বেশ কিছু উক্তি আমাদেরকে দিয়ে গিয়েছেন। মানব জীবন ও মনুষত্ববোধ জাগিয়ে তোলার জন্য সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণাণ এর বানী গুলি খুবই জরুরী। তাই আজ আমরা ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের বাণী ও উক্তি গুলি আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি। আসুন এক নজরে দেখে নিন ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের বাণী ও উক্তি গুলি –
ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন এর বাণী ও উক্তি
১
“৫ সেপ্টেম্বর, আমার জন্মদিন পালন না করে শিক্ষক দিবস উদযাপন করলেই আমি বেশি খুশি হব।”
২
“জীবনের আনন্দ এবং সুখ শুধুমাত্র জ্ঞান
ও বিজ্ঞানের ভিত্তিতে সম্ভব।”
৩
“কলেজে ঢোকা এখন আরো সহজ হয়েছে,
আর কঠিন হয়েছে শিক্ষিত হওয়া।”
৪
“পুস্তকই হলো সভ্যতার বাহন।”
৫
“পৃথিবীর সবচাইতে জনপ্রিয় নেশা হলো টাকা কামানো।”
৬
“এক কথায় মানুষ হল শরীর, মন এবং আত্মা – এই তিন শক্তির সমষ্টি।”
৭
“কেবল নিখুঁত মনের মানুষেরাই জীবনে আধ্যাত্মিকতার
অর্থ বুঝতে পারেন। নিজের সত্যতা, আধ্যাত্মিক একনিষ্ঠতা পরিচয়।”
৮
“একজন শিক্ষকের কর্তব্য হবে শিক্ষার্থীদের একটি গণতান্ত্রিক দেশের উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা।”
৯
“শিক্ষকদের কর্মশক্তি প্রকাশ করার স্বাধীনতাই হবে আদর্শ।”
১০
“মানুষ তারা; যাদের মন টানে সৌন্দর্য,
প্রেম এবং সংস্কৃতির মতো মানবিক মূল্যবোধে।”
Sarvepalli Radhakrishnan Quotes
১১
“বই হল এমন এক মাধ্যম যার সাহায্যে আমরা বিভিন্ন সংস্কৃতির মধ্যে সেতু নির্মাণ করতে পারি।”
১২
“গ্রন্থাগারগুলি বহু চিন্তাবিদ, দার্শনিক ও লেখকদের প্রতিনিয়ত চাহিদা পূরণ করছে।”
১৩
“জ্ঞান ও বিদ্যার ফল হল অনুভব!”
১৪
“বইয়ের তাৎপর্য হলো আমাদের
সংস্কৃতির মধ্যে সেতু নির্মাণ করা!”
১৫
“মনের শান্তি আর বুদ্ধিমত্তা না এলে,
বাহিরের ব্যবস্থা কোন সহায়তা করে না।”
১৬
“শ্রেষ্ঠ বই এবং শ্রেষ্ঠ মানুষের সান্নিধ্যে থেকে যে
জীবন অতিবাহিত হয় সেই জীবনই উৎকৃষ্ট জীবন।”
১৭
“অন্তরের সমস্ত আবিলতা দূর করার জন্য চাই শিক্ষা।
শিক্ষা হবে আত্মীক উন্নতির সহায়ক।”
১৮
“সহনশীলতা হলো শ্রদ্ধা যা সীমিত মন
অসীমতায় পৌঁছানোর জন্য প্রয়োজন!”
১৯
“শিক্ষকদের আচরণ হবে শিক্ষার্থীদের পক্ষে অনুকরণ – যোগ্য।
শিক্ষকরা যদি সঠিক পথ দেখায় তবে শিক্ষার্থীরাও সেই পথে চলতে শিখবে।”
২০
“যদি মুক্ত সমাজ নির্মাণ করতে হয়,
তবে শিক্ষার্থীদের মনকে কলুষ মুক্ত করতে হবে।”
শিক্ষা মুলক সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন এর বাণী ও উক্তি
২১
“এমন শিক্ষার প্রয়োজন যা জগতের মানুষের কল্যাণ সাধনে সক্ষম।
আমরা এমন শিক্ষা চাই যার সাহায্যে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সামাজিক
এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন সাধন করতে সক্ষম হয়।”
২২
“মানুষের সঙ্গে মেলামেশার ক্ষেত্রে বয়স, জাতি, পদমর্যাদা ও শিক্ষা প্রভৃতির পার্থক্য বিচারের কোন মূল্যই আমার কাছে নেই।”
২৩
“অর্থ সব নয়। অর্থের দ্বারা উৎকৃষ্টকে পাওয়া যায় না।
আমাদের সবচাইতে কাম্য সম্পদ মন ও হৃদয়ের প্রশান্তি।
আর সহৃদয়তা টাকায় বিকোয় না।”
২৪
“ধন সম্পদ ব্যক্তিকে পরিপূর্ণতা দেয় না।
আত্মিক উন্নতির মাধ্যমে ব্যক্তি
পরিপূর্ণতা লাভ করতে পারে।”
২৫
“আমাদের দেশের বেকারত্বের একটি অন্যতম কারণ
হলো কৃষিকাজে ও শিক্ষাক্ষেত্রে বিজ্ঞানকে প্রয়োগ না করা।”
২৬
“কোনো মানুষ স্বয়ং সম্পূর্ণ হতে পারে না যদি না
তার মধ্যে যুক্তিবাদ ও আধ্যাত্মিক বোধ জাগ্রত না হয়।”
২৭
“আমরা যে মানব জীবন পেয়েছি, তা হলো
আদর্শ মানব জীবন গড়ে তোলার উপকরণ।”
২৮
“সত্যিকারের শিক্ষক তারাই যারা
আমাদের ভাবতে সাহায্য করেন।”
২৯
“শিক্ষকদের মনীষা সভ্যতার বিবর্তনে চালিকা
শক্তিরূপে কাজ করেছে। শিক্ষকরাই সভ্যতার
প্রদীপ শিখা অনির্বাপিত রেখেছে।”
৩০
“শিক্ষকরা শিক্ষকতাকে যেন বৃত্তি হিসাবে গ্রহন না করেন।
বরং তারা একে আদর্শ হিসাবে গ্রহণ করবেন।”
সর্বশ্রেষ্ঠ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন এর বাণী ও উপদেশ
৩১
“আধ্যাত্মিক শিক্ষা বহির্মুখী ও অন্তর্মুখী মনকে সংহত করে।”
৩২
“পাপে নিমগ্ন যে জন, তাঁরও একটা ভবিষ্যৎ আছে।
মহানতম ব্যক্তিরও একটা অতীত আছে।
কেউ-ই ভালো-খারাপের অতীত নয়।”
৩৩
“ভালো পুস্তক আমাদের কোনো নীতির অনুবর্তী হতে সাহায্য করে।”
৩৪
“মানুষের ভালো করা, মানুষকে সত্যিকারের মানুষ করে তোলা,
আমাদের সকলের কর্তব্য। আর তা যদি আমরা করতে চাই,
সেটি কেবলমাত্র প্রেমের মাধ্যমে, ভালোবাসার মাধ্যমেই করতে পারি”।
৩৫
“মানুষের স্বভাব মূলত ভালো এবং আত্মজ্ঞানের
প্রচেষ্ট সমস্ত খরাপকে দূরে ঠেলে দেবে।”
৩৬
“শিক্ষার্থীদের মধ্যে জ্ঞান বিতরনই শিক্ষকদের একমাত্র
কাজ নয় বিভিন্ন কল্যাণকর কাজেও তাদের উৎসাহিত করতে হবে।”
৩৭
“শিক্ষার অর্থ এই নয় যে বিভিন্ন বিষয়ে কিছু তথ্য আত্মস্থ করা।
শিক্ষা হবে চরিত্র গঠনের সহায়ক।”
৩৮
“শিক্ষকদের দেখতে হবে শিক্ষার্থীরা যেন সৎ চরিত্রের অধিকারী হয়।
সদাচার, সদ ব্যবহার শিক্ষার্থীদের অন্যতম প্রধান অনুশীলনের বিষয় ।”
৩৯
“শিক্ষকরা সমাজে একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে।
ইতিহাস পাঠ করলে জানা যায় সভ্যতার ক্রম বিবর্তন
শিক্ষকদের হাত ধরেই হয়েছে। তা প্রাচ্য কিংবা পাশ্চাত্য
বিশ্বের যে অংশেই হোক না কেন।”
৪০
“আমরা যদি সুখে শান্তিতে থাকি, আর আমাদের চারদিকে অসংখ্য দুঃখ দুর্দশাগ্রস্থ, অবহেলিত ও নিপীড়িত মানুষ কোনও রূপে জীবন যাপন করতে বাধ্য হয়, তাহলে সেই বঞ্চিত মানুষদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ, তাদের দুঃখে সান্ত্বনা দান এবং তাদের দুঃখ মোচনের প্রচেষ্টাই হলো আমাদের বিশেষ কর্তব্য।”
সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন এর উক্তি ও বাণী ভিডিও
আমাদের শেষ কথা
সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন এর বাণী ও উক্তি গুলি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এই নিবন্ধটি আপনার ভালো লেগে থাকলে আপনার প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করুন এবং এরকম সুন্দর সুন্দর আরও পোস্ট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ fb.com/banglaprotibedon ফলো করুন।