শ্রী রামকৃষ্ণ ১০৮ নাম, শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের ১০৮ নাম, রামকৃষ্ণ ১০৮ নাম, Name of Sri Ramakrishna 108, ১০৮ নাম,
শ্রী রামকৃষ্ণ ১০৮ নাম | শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের ১০৮ নাম

শ্রী রামকৃষ্ণ ১০৮ নাম | শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের ১০৮ নাম – শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস ছিলেন এক প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি দার্শনিক, ধর্মগুরু ও যোগসাধক। তিনি শ্রী রামকৃষ্ণ নামে অধিক পরিচিত হলেও তার প্রকৃত নাম হলো গদাধর চট্টোপাধ্যায়। ১৮ই ফেব্রুয়ারি ১৮৩৬ খ্রিস্টাব্দে পশ্চিমবঙ্গের এক দরিদ্র বৈষ্ণব ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন রামকৃষ্ণ পরমহংস। রানী রাসমণি প্রতিষ্ঠিত দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িতে পৌরহীদের গ্রহণের পর বঙ্গীয় তথা ভারতীয় শক্তিবাদের প্রভাবে তিনি কালির আরাধনা শুরু করেন। উনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীর বাংলা তথা ভারতীয় নবজাগরণের অন্যতম পুরোধাব্যক্তিত্ব তিনি। আধুনিক ভক্ত সমাজে তিনি ঈশ্বরের অবতার রূপে পূজিত হন।

আজ আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের ১০৮ নাম বা শ্রী রামকৃষ্ণ ১০৮ নাম। আসুন এক নজরে দেখে নিন শ্রীরামকৃষ্ণ ১০৮ নাম –

শ্রী রামকৃষ্ণ ১০৮ নাম

স্বপ্ন যোগে জানি তোমা দ্বিজ ক্ষুদিরাম।
১. শৈশবে রাখিল তব গদাধর নাম।
২. গদাই বলিয়া ডাকে চন্দ্রা ঠাকুরাণী।
৩. দুলাল রাখিলা নাম ধনী কামারিণী।
৪. গঙ্গা বিষ্ণু নাম রাখে প্রাণের স্যাঙাত।
৫. চিনু শাঁখারিয়া নাম রাখে জগন্নাথ।
৬. হলধারী রাখে নাম জগৎ জননী।
৭. জটাধারী নাম রাখে রাম রঘুমণি।
৮. ব্রাহ্মাণী বলেন ইনি চৈতন্যাবতার।

নিত্যানন্দ খোলে এবে আবির্ভাব তাঁর।
৯. অমিয় সাগর নাম মাস্টার রাখিল।
কথামৃত রসে যাঁর জগৎ ভাসিল।
১০. গিরিশ রাখেন নাম পতিত পাবন
১১. বীর ভক্ত রাম দত্ত বলে জনার্দন।
১২. নরেন্দ্র রাখেন নাম স্বতন্ত্র ঈশ্বর।
১৩. কপাল মোচন কভু ডাকে যতি বর।
১৪. রাখাল রাখেন নাম প্রেমের সাগর।
বৃন্দাবন লীলা স্মরি ভাবে গর্ গর্
১৫. যোগীন্দ্র রাখেন নাম দেব দিগম্বর।
দেখিয়া অনাদি লিঙ্গ গঙ্গার উপর।
১৬. দরদী বলিয়া ডাকে ভক্ত বাবুরাম।

১৭. নিষ্কলঙ্ক চন্দ্র বলি কভু রাখে নাম।
১৮. গুরু মহারাজ নামে ডাকে নিরঞ্জন।
১৯. শিবানন্দ নাম দেন ব্রহ্ম সনাতন।
২০. সুবোধ রাখেন নাম শ্যামা ক্ষেমঙ্করী।
২১. লাটু মহারাজ বলে ব্রহ্মা অবতরী।
২২. শশী মহারাজ বলে বাঞ্ছা কল্পতরু।
২৩. কালী মহারাজ বলে জগতের গুরু।
২৪. শরৎ রাখেন নাম জগতের মাতা।

২৫. গঙ্গাধর নাম রাখে বিশ্বের বিধাতা।
২৬. হরি রাজ রাখে নাম প্রজ্ঞানন্দ ঘন।
২৭. সারদা ডাকেন বলি সগুণে নিৰ্গুণা
২৮. কালের কামিনী বলি ডাকে কেনারাম।
তন্ত্র পথে মন্ত্র যবে করিলা প্রদান।
২৯. কালী দানা নাম রাখে কৈবল্য দায়িনী।
৩০. অন্তর্যামী নাম রাখে রাণী রাসমণি।
দেখিয়া মথুর শির শক্তি একাধারে।
৩১. বিশ্ব পিতা মাতা বলি ডাকে ভক্তিভরে।
3২. হাজরা রাখিল নাম মায়া অধীশ্বর।
বুঝে না বুঝিল লীলা থেকে একত্তর।

৩৩. দর্পহারী নাম দিলা বৈষ্ণব চরণ।
৩৪. হৃদয় রাখিল নাম বিপদ ভঞ্জন।
৩৫. নিস্তারিণী নামে ডাকে সারদা জননী।
ভিন্ন দেহ ধরি যিনি অভিন্না সঙ্গিনী।
৩৬. ব্রহ্মশক্তি বলি করে কেশব নির্ণয়।
৩৭. ষোলকলা পূর্ণ কহে গোস্বামী বিজয়।
৩৮. দুলালীবলিয়া ব্রজে ডাকে গঙ্গামাঈ।
রাধা ভাবে উন্মত্ত ছেরিয়ে গোঁসাঞী।
৩৯. শ্রী পদ্মলোচন বলে গোলক বিহারী।
৪০. শ্রী শম্ভু মল্লিক ডাকে পারের কাণ্ডারী।
চৈতন্য আসনে প্রভু যবে অধিষ্ঠান।

৪১. গৌরাঙ্গ বলিয়া ডাকে বৈষ্ণব প্রধান।
৪২. সুরেন্দ্র সর্বজ্ঞ বলি ডাকে নিশিদিন।
৪৩. মহেন্দ্র ডাক্তার বলে ব্রহ্মানন্দে নীল।
শ্রী গৌরী পণ্ডিত দেখি বারুদ বরণা।
৪৪. মহাকালীবলি উচ্চে করিল ঘোষণা।
৪৫. ইয়াজিদ বলে ইনি পীর পেগম্বর।
৪৬. কুক দেখে খ্রীষ্ট রূপ ক্রুণের উপর।
৪৭. নানক বলিয়া কহে সিপাহী কেয়ার।
৪৮. পওহারী বাবা বলে ঈশ্বরাবতার।

৪৯. গৌরী মাতা নাম দিল অধমতারণ।
৫০. কভু বলে গোপীনাথ মদনমোহন।
৫১. গোপালের মাতা কন শ্রী বালগোপাল।
ক্ষীর সর ননী হাতে ডাকে কতকাল।
৫২. নব রসিকেরা বলে অটুট গোঁসাই।
৫৩. আলেখ বলিয়া ডাকে দরবেশ সাঁই।
৫৪. চন্দ্ৰ বলে প্রভু তুমি বিভূতির খনি।
প্রভুর পরশে যবে নিবে পৃষ্ঠমণি।
৫৫. অন্নাসন অনুষ্ঠানে রামকৃষ্ণ নাম।।
কলিযুগ মহামন্ত্র রাখে ক্ষুদিরাম।
৫৬. তোতাপুরী নাম রাখে শ্রী পরমহংস।
পরশে যাঁহার হবে মায়া মোজ ধ্বংস।

৫৭. সর্ব দেবদেবী রূপ সন্ন্যাসী রা কয়।
দেখি নিজ নিজ ইষ্ট শ্রী অগে বিলয়।
৫৮. উপেন্দ্র রাখেন নাম দারিদ্র্য ভঞ্জন।
বসুমতী ভবে যার বিজয় কেতন।
৫৯. নট নারায়ণ নাম রাখে বিনোদিনী।
রঙ্গমকে শ্রী প্রভুরে সমাধিস্থ জানি।
৬০. দীননাথ বলি ডাকে নাগ মহাশয়।
৬১. মূর্ত জগবন্ধু বলি বলরাম কয়।।
৬২. মুক্তিদাতা নামে ডাকে শ্রী মনমোহন।
৬৩. পূর্ণ কহে ইনি পূর্ণব্রহ্মা নারায়ণ।
৬৪. স্ত্রী বিদ্যাসাগর বলে দয়ার সাগর।

৬৫. সাধকের চূড়ামণি বলে শশধর।
শ্রী প্রভুর অঙ্গে অঙ্গে মহাভাব হেরি।
৬৬. ভগবান দাস কহে ইনি রাধা প্যারী।
৬৭. ভূপতি বলেন ডাকি ইনি সরস্বতী।
ত্রিশূল ডমরু কর ভালে দিব্য জ্যোতি।
৬৮. অধর রাখেন নাম জগৎ জননী।
প্রবিষ্ট দেখিয়া ইষ্ট বরাভয় পাণি।
৬৯. আনুড়ে শীতলা নাম রাখে যাত্রীগণ।
শীতলার ভাবে যবে সমাধিস্থ হন।
৭০. কল্পতরু হয়ে প্রভু কাশীপুরোদ্যানে।
স্বীয় ইষ্ট দেখাইলে ছুঁয়ে ভক্তগণে।
শিরসি সহস্র দলে হেরিয়ে তোমায়।
৭১. শ্রী যোগীন মাতা বলে চিদ্ ঘনকায়।
৭২. শিবনাথ বলে ইনি পরশ পাথর।
দল ভঙ্গ বলি গেল নাহি অতঃপর।

৭৩. বৈকুণ্ঠ সান্যাল বলে শিব অবতার।
কোটি রাম রুদ্র বিধি স্ফুলিঙ্গ যাঁহার।
৭৪. হরিশ বলেন ইনি কাঙালের হরি।
৭৫. দীনবন্ধু বলে পরব্রহ্ম অবতারি।
দেবীর সম্মুখে দেখি চামর ব্যজন।
৭৬. জগদম্বা জয়া বলি করে সম্ভাষণ।
চন্দ্ৰভাতি দেখি অঙ্গে শ্রী নবগোপাল।
৭৭. রাম রাম বলিয়া কাটিয়ে গেল কাল।
সখি ভাবে স্থিত শ্রী দেবেন মজুমদার।
৭৮. ত্রিভুবন স্বামী বলি করিল প্রচার।
৭৯. লোভূমি বাই বলে ইনি ঊর্ধ্বরেতা যোগী।
৮০. লোক্ষ্মী নারায়ণ কহে ইনি সর্বত্যাগী।

৮১. তারক দেখেন প্রভু মুক্ত অষ্ট পাশ।
৮২. নবাই চৈতন্য বলে গৌরাঙ্গ প্রকাশ।
৮৩. অঘটন ঘটনাখ্যা দিল রামলাল।
মন্দিরে দেখিয়া দেবী বিকট করাল।
কলিযুগে আনন্দ আসন সিদ্ধ শুনি।
৮৪. শ্রী অচলানন্দ বলে কৌলরাট্ ইনি।
আম নর মাংস ভোজ্য যবে দিল আনি।
৮৫. প্রচণ্ড চণ্ডিকা রূপ দেখিলা ব্রাহ্মণী।
উক্তি মুখে সুরেশ কহিল বারবার।
৮৬. নর দেহে রামকৃষ্ণ বিষ্ণু অবতার।
৮৭. উত্তম পুরুষ হেন দেখি নাই আর।
লিপিবদ্ধ করিল প্রতাপ মজুমদার।
শ্রী কর পরশে দৃষ্টি খুলিল যখন।

৮৮. সন্দেহ ভঞ্জন ঘোষে শ্রী হরমোহন।
৮৯ শান্তিদাতা নাম দিল গোলাপ ব্রাহ্মণী।
নিরাশ্রয়া যবে কন্যাশোকে উন্মাদিনী।
খানদানী ভক্তরাজ বলরাম জায়া।
৯০. গোবিন্দ বলিয়া ডাকে স্বরূপ চিনিয়া।
৯১. অক্ষয় রাখিল নাম করুণা নিদান।
রামকৃষ্ণ পুঁথি যার বিজয় নিশান।
১২ দক্ষরাজ রাখে নাম মহা মহেশ্বর।
সাধনার পথে যার বিঘ্ন বহুতর।
৯৩. ভক্তবীর পন্টু কহে তুমি সারাৎসার।
৯৪. নরেন্দ্র মিত্রজা কহে বুদ্ধ অবতার।
৯৫. সদানন্দ নাম রাখে আবদুল কিশোরী।
৯৬. চিন্তামণি বলে মণি প্রভুরে নেহারি।

৯৭, অন্ধ্র নারীশ্বর রূপ অতুল দেখিলা।
বলে গেল একদেহে রাধাকৃষ্ণ লীলা।
স্থূল দেহে শূন্য পথে যান ঝাউতলা।
৯৮. ব্যোমচারী বলি তেই হৃদ্য ঘোষিলা।
ছায়া নাহি পড়ে যবে সাধনার কালে।
৯৯ ছায়াহীন দেবতনু শ্রী ব্রাহ্মণী বলে।
পাপ পুরুষেরে মাসে করি বহিষ্কার।
১০০, নিষ্কম্প প্রদীপ খ্যাতি রটিল তোমার।
চিত ধূম পানে অঙ্গ কান্তি আচ্ছাদিলে।
১০১. অনৈশ্বর্য বলি ভক্তে পরে জানাইলে।
পদে বিদলিত দেখি নব দূর্বা দল।
১০২. বিশ্বব্যাপী বলি তব চক্ষে বহে জল।
পৃষ্ঠে ব্যাথা ধরি দুর মাঝির আঘাতে।
১০৩. তুমি নিম্নিত্বপাদান জানালে সঙ্কেতে।
১০৪ নীলকণ্ঠ কহে তুমি সর্ব সিদ্ধি দাতা।
অশ্রু সিক্ত বক্ষ যবে শুনি কৃষ্ণ কথা।

১০৫. সতত সমাধি মুখ ভাবে কি অভাবে।
কোটি জন্মে হেন স্থিতি জীবে না সম্ভবে।
শ্রী মুখে অসত্য বাণী নহে কদাচন।
১০৬. সত্যের স্বরূপ তুমি সত্য নারায়ণ।
১০৭. জ্ঞানী কয়, ভক্ত কয়, তুমি পূর্ণাদর্শ।
তব পদরজে পূত এ ভারতবর্ষ।
১০৮. শ্রী মুখে কহিলে তুমি পূর্ণ অবতার।

রাম রুদ্র বিধি বিষ্ণু কলাংশ যাঁহার।
অবতার ভৃত্য যাঁর সেই তো এবার।
রামকৃষ্ণ দেহ ধরি হরিলে ভূভার।
অষ্টত্তর শত নাম সকাল সন্ধ্যায়।
পড়িলে শুনিলে জীব মুক্ত হয়ে যায়।।


 আমাদের শেষ কথা 

শ্রী রামকৃষ্ণ ১০৮ নাম / শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের ১০৮ নাম গুলি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। নিবন্ধটি আপনার ভালো লেগে থাকলে আপনার প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করুন এবং এরকম সুন্দর সুন্দর আরও পোস্ট পেতে আমাদের ফেসবুক পেজ fb.com/banglaprotibedon ফলো করুন।


আরও পড়ুনঃ

শ্রী শ্রী মা সারদার অষ্টশত নাম
শ্রী শ্রী মা কালীর অষ্টোত্তর শতনাম
রাধা রানীর অষ্টোত্তর নাম